অস্বাভাবিক মুনাফা ১২ ব্যাংকের, ছয় এমডিকে শোকজ

ডলারে অস্বাভাবিক মুনাফা করেছে ১২টি ব্যাংক। এর মধ্যে বাজার অস্থিতিশীল করায় দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে এসব ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে অন্য ব্যাংকেও চিঠি দেওয়া হবে।

বুধবার ৬ ব্যাংকের এমডিকে চিঠি দেওয়া হয়। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। বিভিন্ন ব্যাংকের অর্ধ-বার্ষিক ব্যালেন্স শিট ঘেঁটে দেখে যায়, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৪০ থেকে ৭৭০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করেছে এসব ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে কম দামে ডলার কিনে ব্যাংকিং নিয়ম লঙ্ঘন করে বেশি দামে ডলার বিক্রি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ছয় এমডিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কারা দায়ী, তা জানাতে বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত ছয় ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য ব্যাংকগুলোকেও চিঠি দেওয়া হবে। এছাড়া প্রতিটি ব্যাংকে পরিদর্শন করা হবে। কারণ একই কাজ আরও অনেক ব্যাংক করেছে। অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংকের ডলার কেনাবেচার তথ্য পর্যালোচনা করে। দেখা গেছে, কোনো কোনো ব্যাংক ডলার কেনাবেচা করে এক মাসে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত লাভ করেছে। এর মাধ্যমে ডলার বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলা হয়।

গত মে মাস থেকে দেশে ডলারের সংকট চলছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে আমদানির দায় শোধ করা যাচ্ছিল না। এ কারণে বেড়ে গেছে ডলারের দাম। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম এই সময়ে ৮৬ থেকে ধাপে ধাপে ৯৫ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে। তবে ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের কাছ থেকে প্রতি ডলার ১০৬-১০৭ টাকা দিয়ে ক্রয় করছেন। তবে খোলা বাজারে ডলারের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এ বছর প্রথম ছয় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন থেকে সর্বোচ্চ ৭৭০ শতাংশ মুনাফা করেছে ব্যাংক এশিয়া। এভাবে আরও ৯টি ব্যাংক এই সময়ের মধ্যে ২০০ শতাংশের বেশি মুনাফা করেছে। আর দুটি ব্যাংক ১৪০ শতাংশের বেশি মুনাফা অর্জন করেছে।

LEAVE A REPLY