বণিক সমিতির অফিসে জুয়ার আসর, ভাইরাল ভিডিও

ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুর বাজার বণিক সমিতির অফিসে নিয়মিত জুয়ার আসর বসে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে জুয়া খেলার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। 

প্রায় তিন মিনিটের ওই ভিডিওতে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. রবিউল করিমের নেতৃত্বে জুয়া খেলতে দেখা গেছে। 

কালামপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি রবিউল করিম ওই এলাকার মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে।

বণিক সমিতির সদস্যদের অভিযোগ, এখানে শুধু জুয়ার আসর নয়, রাতে মাদক সেবন ও নারী নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠে এলাকার সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী একটি চক্র। 

শনিবার কালামপুর বাজার বণিক সমিতির কার্যালয়ের পাশেই চলছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আর সমিতির অফিসের ভেতর চলছিল জুয়ার আসর। এর একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়।  

ভিডিওতে দেখা যায়, কালামপুর বাজার বণিক সমিতির অফিসের ভেতরে রবিউলসহ ৭-৮ জন মিলে জুয়া খেলছেন। সমিতির অফিসের টেবিলেই জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল করিমের নেতৃত্বে এসব অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়। 

একাধিকবার বাজার বণিক সমিতির সভাপতির পদে থাকার সুবাদে রবিউল করিম গড়ে তুলেছেন জুয়া খেলার সিন্ডিকেট। রাত হলেই জুয়ার আসরে অসাধু ব্যক্তিদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। বাজারের সবাই বিষয়টি জানলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই সমিতির অফিসে জুয়া খেলাসহ মাদক সেবন, নারী নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ চলে আসছে। তার প্রমাণও দেখেছি। বাজারের ব্যবসায়ীরা সভাপতি রবিউল করিমের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো টুঁ-শব্দ করার ক্ষমতা রাখেন না।

কালামপুর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, এর আগে অনেক শুনেছি- বণিক সমিতির অফিসে অসমাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হয়। প্রথমে বিশ্বাস হতো না কিন্তু ভিডিও দেখে আমার সেই বিশ্বাস ভেঙে গেছে।

বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল হোসেন বলেন, আমি অন্যদের কাছে বিষয়টি শুনেছি। কমিটি থেকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বণিক সমিতির সভাপতি রবিউল করিম বলেন, বিভিন্ন উৎসব ও বিশেষ মুহূর্তে বন্ধু-বান্ধবদের মিলনমেলা বসে এ অফিসে। এ ভিডিও তারই দৃশ্য। ওই সময় প্রতিপক্ষরা এ দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। বাজারের নির্বাচন চলে আসছে। তাই ভোটারদের কাছে আমাকে বিতর্কিত করতেই এমন কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY