গরুপাচার মামলার তদন্তে এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে গেছে সিবিআই। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নামে-বেনামে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তার ঘনিষ্ঠদের কত জমি রয়েছে, সেসব তথ্য জানতে এই অভিযান।
সিবিআই জানিয়েছে, এরই মধ্যে একাধিক নথি কর্মকর্তারা পেয়েছেন। কাগজপত্র ছাড়াও অনলাইনে নথিভুক্ত জায়গাজমি সম্পর্কেও তথ্যতালাশ করছেন সিবিআই কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার আগেই জমি রেজিস্ট্রি অফিসে পৌঁছে যান সিবিআই গোয়েন্দারা। তখনো খোলেনি অফিস। এরপর কর্মীরা একে একে পৌঁছতে অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
গতকাল সোমবার অনুব্রত মণ্ডলের ভাতিজার অংশীদারত্বে থাকা শিবশম্ভূ রাইসমিলে গিয়েছিল সিবিআই। তারপর তারা যায় সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাটে। সিবিআই জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জমির দলিল তাদের হাতে এসেছে।
সেই দলিলের সবগুলো আসল কি না, তা খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, গুণ্ডা বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে অনুব্রত জাল দলিল তৈরি করেও জমি দখল করে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। তাই সব জমির দলিলের সত্যতা পরীক্ষা করতে চায় তারা।
অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর সিবিআই তল্লাশিতে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে লাফিয়ে বেড়েছে অনুব্রতর সম্পত্তির পরিমাণ। নামে-বেনামে বীরভূম ও পাশের জেলায় সম্পত্তি কিনেছেন অনুব্রত। বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন বিভিন্ন জায়গায়।
কী করে রাতারাতি টাকার কুমির হয়ে উঠলেন তৃণমূল নেতা? তার এই কারবারে আর কারা কারা যুক্ত? এবার সেদিকেই নজর দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সূত্র : আনন্দবাজার।