নারায়ণগঞ্জে গুলিতে নিহত ১

দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে একজন নিহত এবং দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বের করা মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও হামলা চালান। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষকালে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিয়ার গ্যাস ছোড়ায় ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ হয়। পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নেত্রকোনায় ১২ পুলিশ সদস্যসহ ৩২ জন, সিরাজগঞ্জে গুলিবিদ্ধসহ ২২ জন, মানিকগঞ্জে তিন পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জন, রংপুরে ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে নড়াইলে ৩০ জন ও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পাঁচজন আহত হয়েছেন। পটুয়াখালী, মাদারীপুরের টেকেরহাটে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা, লাঠিচার্জ এবং নাটোরে বিএনপির মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সম্পর্কে ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নারায়ণগঞ্জ : শহরের ২নং রেলগেট ও ডিআইটি এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক শাওন (২২) নিহত হন। বিএনপির দাবি শাওন যুবদলের কর্মী। প্রায় আড়াই ঘণ্টা থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে বিএনপির নেতাকর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতের বেশি আহত হয়েছেন।

শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ ফতুল­া, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর এলাকা থেকে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী ২নং রেলগেট ও মণ্ডলপাড়া পুল এলাকায় জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন। এতে পুলিশ বাধা দিলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে পেছন থেকে ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশও লাঠিচার্জ করে। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা ডিআইটি এলাকায় একত্র হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পিকেটাররাও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ২নং রেলগেট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসের বিপরীতে থাকা পুলিশ বক্স ও সেখানকার ৭-৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ ছাড়া রহমতউল­া মুসলিম ইনস্টিটিউট সড়ক, ২নং রেললাইন, উকিলপাড়া ও ডিআইটি এলাকায় নেতাকর্মীরা একত্র হয়ে পুলিশের ওপর চারদিক থেকে আক্রমণ করেন। অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছালে বিএনপি নেতাকর্মীরা পিছু হটতে বাধ্য হন। প্রায় আড়াই ঘণ্টার সংঘর্ষে পুরো নগরী রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতঙ্কে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পথচারীশূন্য হয়ে পড়ে রাস্তা। দুপুর ২টার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ শাওনকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফতুল­ার বক্তাবলীর ধর্মগঞ্জ এলাকার ওয়ার্কশপে ওয়েল্ডার হিসাবে শাওন কর্মরত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ সদর (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে তার লাশ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক ওমর ফারুককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষকালে মোহনা টেলিভিশনের সাংবাদিক আজমীর ইসলাম ও দীপ্ত টেলিভিশনের সাংবাদিক গৌতম সাহাসহ চার গণমাধ্যম কর্মী আহত হন। সংঘর্ষকালে পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেল শহরের মর্গান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে পড়ে। এতে ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। তাদের মধ্যে চারজনকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, পূর্ব অনুমতি না নিয়ে মিছিল বের করে তারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ককটেল ছুড়ে মারে। আÍরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে পুলিশের ১০-১২ জনের মতো সদস্য আহত হন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে যুবদলের পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন। তারা হলেন- বাদল ভ‚ঁইয়া, নাবির হোসেন নবীন, রাসেল প্রধান, জুয়েল আরমান ও মো. ফারুক। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ জানান, পুলিশের গুলিতে শাওন নিহত হয়েছেন। শাওন ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য। শাওনের এলাকার বাসিন্দারা জানান, শাওন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

নিহত যুবক যুবদল কর্মী নয়, যুবলীগ দাবি করে ফতুল্লায় বিক্ষোভ মিছিল : ফতুল­া প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত শাওন যুবদল নয় যুবলীগ দাবি করে বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফতুল­ার নবীনগর এলাকায় নিহতের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করা হয়। ফতুল­া থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টারের নেতৃত্বে বিক্ষোভে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক ট্যাংক লরি কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আলীম শেখ, বক্তাবলী ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফকির চাঁন বেপারী, এনায়েতনগর ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল জলিল, আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান শেখ, শাহজাহান, নিহত শাওনের মামা মীর হোসেন, শহিদ মোদিসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

জাহাঙ্গীর মাস্টার জানান, শাওন আমাদের এলাকার ছেলে এবং ফতুল­া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর ভাতিজা। তারা চার ভাইয়ের মধ্যে বড়জনের অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে। আর তিন ভাই তাদের চাচা শওকত আলীর সঙ্গেই থাকেন এবং শাওন যুবলীগের রাজনীতি করেন। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। নিহত শাওনের মা ফরিদা বেগম জানান, তার তিন ছেলে কাজ করে সংসার চালায়। শাওন তার চাচা শওকত আলীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করত। চাচার কথার বাইরে সে এক পাও হাঁটে না। বাড়ির কাছে শহিদুল­াহর ওয়ার্কশপে কাজ করে। সকালে কাজে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় শাওন। ওয়ার্কশপ মালিক শহিদুল­াহ জানান, শাওন আমার এখানে কাজ করত। সে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না।

নেত্রকোনা : পৌর শহরের ছোটবাজার এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ১২ পুলিশসহ ৩২ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির মিছিলের কারণে শহরের প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ দলটির নেতাদের সড়কটি ছেড়ে দিতে বলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ লাটিচার্জ করে। টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। হামলায় মেদনী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আব্দুল খালেক, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, লতিফুল হক চৌধুরী সুজন, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান দোলন, জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক প্রান্ত পাঠান, পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাপ্পী, ছাত্রনেতা হৃদয় পাঠান, অন্তর পাঠান, সদর উপজেলা যুবদল নেতা ফারুক আহমদসহ ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সময় বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কর্মীরা সড়ক বন্ধ করে রাখে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক ফাঁকা করতে চাইলে পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, ৪ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ : শহরের ইবি রোডের জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে সাত পুলিশসহ ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছাত্রদলের দুই কর্মীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জসিম উদ্দিন জানান, ইবি রোডের জেলা কার্যালয় ও ভাসানী মিলনায়তন প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় হঠাৎ বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে সাত পুলিশ আহত হয়েছে। তিনি আরও জানান, এর আগে জেলা বিএনপির সমাবেশ চলাকালে রাস্তায় তল­াশি চালিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ এক ছাত্রদল কর্মীকে আটক করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে পেছন থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এতে ছাত্রদলের দুই নেতা চোখে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আর একজনের বুকে গুলি লেগেছে। দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জ : শহরের উত্তর সেওতা এলাকা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা খালপাড় এলাকায় যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এছাড়া বিএনপির ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও আহতের ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে, নেতাকর্মীদের আহত করার প্রতিবাদে বিএনপি নেতা আফরোজা খান রিতা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতারা তাদের দলীয় কর্মসূচি বানচাল করতে হামলা চালিয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সকাল থেকে শহরের খালপাড় ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেয়।

রংপুর : নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপি মিছিল বের করলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকলে পুলিশের সঙ্গে হট্টগোল-হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে পুলিশ ও মহানগর বিএনপির আহŸায়ক ও সদস্য সচিবসহ ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে না পেরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হন। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

নড়াইল : নড়াইলের নড়াগতি থানাসংলগ্ন কেজি স্কুল চত্বরে জেলা বিএনপির কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পথচারী এক শিশুসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। ঘণ্টাব্যাপী পালটাপালটি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় যুবলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন ইটের আঘাতে আহত হন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, তাদের সমাবেশস্থলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। এ সময় দলের পাঁচজন নেতাকর্মী ও এক পথচারী শিশু গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) : উপজেলা সদরের চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সভায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় বিএনপির ৫ নেতা আহত হয়েছেন। পৌর বিএনপির সভাপতি আমানত গাজী ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবুল মতিন এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শহিদ হোসেন জানান, বিএনপির সভায় কিছু দুষ্কৃতকারী হামলা চালানোর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

LEAVE A REPLY