ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে লিজ ট্রাস, পিছিয়ে ঋষি সুনাক

আনুমানিক ২ লাখ সদস্যের ভোটে এগিয়ে আছেন লিজ ট্রাস

দেশব্যাপী প্রচার, এক ডজন বক্তৃতা এবং তিনটি টেলিভিশন বিতর্কের পর, শুক্রবার কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোট প্রদান শেষে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে লিজ ট্রাস। প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাকের বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র সচিবের এই টানা প্রচারের ফলাফল সোমবার ঘোষণা করার কথা রয়েছে। পরের দিন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার আগেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।

কনজারভেটিভ পার্টির আনুমানিক ২ লাখ সদস্যের পোস্টাল এবং অনলাইন ভোট শুরু হয় আগস্টের শুরুতে।

যার এক মাস আগে জনসন তার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

জানা গেছে সদস্যদের ভোটে ট্রাস সুনাকের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। তাদের মধে বিজয়ীজন প্রধানমন্ত্রীর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে ফিরে এলে খুব দ্রুতই বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পরে বিভিন্ন জ্বালানির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। যা ব্রিটেনকে সবচেয়ে খারাপ ব্যয়-সংকটের মধ্যে ফেলেছে। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছে।

লাখ লাখ মানুষ বলছে, অক্টোবর থেকে দেশটিতে জ্বালানির খরচ ৮০ শতাংশ বাড়ায় তারা আসন্ন শীতে খাবার কেনা ও ঘর গরম রাখার মধে একটিকে বেছে নেওয়ার মত কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বে।  কর কমালেও তাতে খুব দরিদ্রদের কোন উপকার হবে না।

কিন্তু বৃহস্পতিবার দ্য সান সংবাদপত্রে তার লেখাতেই তিনি বলেছিলেন, ‘এই শীতে মানুষ যাতে অসহনীয় জ্বালানি ব্যয়ের সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে সহায়তা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাস। ‘

ট্রাস কয়েক সপ্তাহ ধরে সরাসরি টাকা হস্তান্তরের বিভিন্ন দাবি বাতিল করেছেন। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের মতই আর কোনো কর না দেওয়ার ঘোষণা করলেও কিছুদিনের মধ্যে সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করেন তিনি।

বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বরিস জনসন। একসময় ব্রিটেনে ব্রেক্সিটের নায়ক ছিলেন জনসন। ব্রিটেনের আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালে। ততদিন পর্যন্ত লিজ ট্রাস ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে জনসনের পদত্যাগের পর থেকে কনজারভেটিভ পার্টিকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। তাদের দাবি ব্রিটেনে ‘জম্বি সরকার’ চলছে। ১৯৭৯ সালে মার্গারেট থ্যাচারের জয়ের পর থেকে প্রথমবার এত বড় অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে ব্রিটেন।

বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ক্রমাগত আক্রমণের পড়ে এই মুহুর্তে ব্রিটেনের লেবার পার্টি প্রায় দুই অংকের বেশি সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির তুলনায়।

সূত্র : এনডিটিভি।

লাখ লাখ মানুষ বলছে,  অক্টোবর থেকে দেশটিতে জ্বালানির খরচ ৮০ শতাংশ বাড়ায় তারা আসন্ন শীতে খাবার কেনা ও ঘর গরম রাখার মধে একটিকে বেছে নেওয়ার মত কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বে।

LEAVE A REPLY