প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে চিঠি দিয়ে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন’-এর পক্ষে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান ইভিএম দিয়ে যে প্রশ্নাতীতভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে তা প্রমাণের দায়িত্ব বা ‘বার্ডেন অব প্রুফ’ কমিশনের, অন্য কারো নয়। আর যেহেতু অন্য কারো কাছে ইভিএম এবং এর সোর্সকোড নেই, তাই তাদের পক্ষে ইভিএম দিয়ে কারচুপির প্রমাণ উত্থাপন করাও অসম্ভব।
গত ২৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে সুজন জানায়, বর্তমান ইভিএম কারিগরি দিক থেকে অত্যন্ত দুর্বল একটি যন্ত্র। এই যন্ত্রটি দিয়ে নির্বাচনে কারসাজি করা সম্ভব।
সুজনের এই বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারচুপির কথা যিনি বলছেন তাঁকে প্রমাণ দিতে হবে। উনি যদি প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে ইভিএম বাতিল করে দেব। ’ আরেকজন নির্বাচন কমিশনারও সুজনকে নির্বাচন কমিশনে এসে ইভিএমে কারচুপি করা যায়—এর পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপনের আহ্বান জানান।
গতকাল রবিবার সুজনের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সিইসিকে চিঠি লেখেন।
এতে বলা হয়, ‘আপনার সহকর্মী আমাদেরকে নির্বাচন কমিশনে এসে আমাদের বক্তব্য উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। এতে আমাদের কোনোরূপ আপত্তি নেই। তবে এটি অপ্রয়োজনীয়, কারণ আমরা সংবাদমাধ্যমে লিখিতভাবে যা উত্থাপন করেছি, তার বাইরে আমাদের তেমন কিছু বলার নেই। ’
সুজন আরো বলেছে, নির্বাচন কমিশনারের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমরা যে কথা বলিনি তা চ্যালেঞ্জ করে ‘ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধে’র অবতারণা এবং একটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছেন।