বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গুলি করে হত্যা, গুম এবং চাল-ডাল ও জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা বিএনপি। পথে পথে নেতাকর্মীদের হামলা ও বাধা উপেক্ষা করে এ কর্মসূচিতে হাজারও বিএনপি নেতাকর্মী অংশ নেন। বিএনপি নেতাদের দাবি আওয়ামী লীগের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
উপজেলার সরারচর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপি নেতা ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল।
এ সময় তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের সশস্ত্র নেতাকর্মীদের হামলা ও বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। এসব হামলায় পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বহনকারী অনেকগুলো গাড়িও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। এসব হামলায় আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা বুকের রক্ত ও জীবন দিতে শিখে গেছে। গুলি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে রাজপথ থেকে বিএনপিকে আর সরানো যাবে না। এ সময় তিনি পথে পথে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগানে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
তবে সমাবেশের একপাশে অর্ধশতাধিক পুলিশ এবং তিন পাশে সশস্ত্র আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মহড়াকে চ্যালেঞ্জ করে টানটান উত্তেজনার মধ্যে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বাজিতপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, যেখানে হামলা ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে সেখানেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে।