শত্রুকে একসঙ্গে মোকাবিলা খুবই জরুরি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, যে শক্তি আমাদের শত্রু, তাদের যেন আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি। তিনি বলেন, এটা খুবই জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কদম মিলিয়ে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ভারত পাশে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি এসব কথা বলেন। এর আগে দুদেশের মধ্যে সাতটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে সই হওয়া এসব সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মৈত্রী পাওয়ার প্লান্টের ইউনিট-১ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দুই দেশের সহযোগিতা নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিস্তৃত করার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা বিস্তৃত করেছি। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্যার তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময় করছি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতার বিষয়ে তারা (বাংলাদেশ ও ভারত) আলোচনায় জোর দিয়েছেন। তিন বলেন, ‘১৯৭১ সালের আদর্শকে জীবন্ত রেখে এই ধরনের শক্তিকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা জরুরি, যারা আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাসকে আঘাত করতে চায়।’

নরেন্দ্র মোদি বলেন, এশিয়ার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার বাংলাদেশ। এই অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে দ্বিপক্ষীয় সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) করার আলোচনা দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করতে চান তারা।

দুদেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজ বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় ?উন্নয়ন সহযোগী এবং এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। তিনি দাবি করেন, মানুষে মানুষে সংযোগের ক্ষেত্রে অব্যাহত উন্নতি হচ্ছে। গত কয়েক বছরে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি বহু দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। কোভিড মহামারি ও সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া এবং আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা দরকার।

মোদি বলেন, “আমরা তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি পরমাণু শক্তির মতো বিষয় অর্থাৎ তরুণ প্রজন্ম যা নিয়ে বেশি ভাবে, সে ব্যাপারে পারস্পরিক সহযোগিতার কথাও ভেবেছি। এছাড়া ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইন’ নিয়েও কথাবার্তা এগিয়েছে।”

গত বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং প্রথমবারের মতো মৈত্রী দিবস উদযাপনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মোদি বলেন, আগামী দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

LEAVE A REPLY