সীতাকুণ্ডের আলীনগর পরিদর্শনে গিয়ে সন্ত্রাসীদের ইট পাটকেল হামলার শিকার হয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এতে বাধ্য হয়ে তারাও গুলি ছুঁড়েছেন।
এসময় ইটপাটকেল, গুলি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ( চমেকে) ভর্তি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সীতাকুণ্ডের বায়েজিদ-ফৌজদার হাট সড়কের উভয় পাশে পাহাড় কেটে গড়ে তোলা দোকান পাটসহ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা ৭০টির মতো স্থাপনা উচ্ছেদ শেষ করার পর দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রামের নবাগত পুলিশ সুপার ও র্যাব-৭ এর অধিনায়ক কর্ণেল এম.এ ইউসুফসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
এক পর্যায়ে তারা জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরে র্যাব ক্যাম্পের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেড়টার দিকে আলীনগরে প্রবেশ করেন। জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তারা যখন আলীনগরের ভেতরে ঢুকে গন্তব্যের লক্ষ্যে হাঁটছিলেন তেমনি সময়ে সড়কের দু’পাশের পাহাড় থেকে হঠাৎ তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু হয়।
কিছু বুঝে ওঠার আগে উড়ে আসা ইট পাটকেলে আহত হন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিরাপত্তা রক্ষী আনসার সদস্য মো. নজরুলসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তা। এতে বাধ্য হয়ে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে র্যাব-পুলিশও। ইট পাটকেল ও গুলিতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে ৭ জনকে চমেকে ভর্তি করানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে চমেকে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিরা হলেন আমেনা বেগম (৩০), আলী রাজ হাসান সাগর (২৪), আনসার বাবুল মন্ডল, আমেনা বেগম (৫০), মোঃ বাবুল (৩৫), মো. পারভেজ (২০)। এদের মধ্যে আলী রাজ হাসান সাগরের অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তদন্ত সুমন বনিক যুগান্তরকে বলেন, আলিনগর পরিদর্শনে গেলে সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।