রানির স্মৃতিতে বিশ্ব নেতাদের শোক ও শ্রদ্ধা

গত বছর ইংল্যান্ডে জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময় জো ও জিল বাইডেনের সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ছবি: যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর

বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তারা রানির গভীর কর্তব্যবোধ ও দৃঢ়তার পাশাপাশি তাঁর রসবোধ এবং মমতার কথা স্মরণ করেছেন।  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৪০ বছর আগে রানির সাথে প্রথম দেখা করেছিলেন। তিনি তাঁকে ‘একজন রাজন্যের চেয়েও বেশি, একটি যুগের প্রতিনিধি’ বলে বর্ণনা করেন।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যে সফরের কথা স্মরণ করে বাইডেন বলেন, ‘তিনি তার প্রজ্ঞা দিয়ে আমাদের মুগ্ধ করেছিলেন। উদারতা দিয়ে করেছিলেন আলোড়িত। উদারভাবে তিনি তার প্রজ্ঞা আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলেন। ’

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁর দীর্ঘ শাসনামলে ১৩ জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করেছিলেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রানির ‘উদার বন্ধুত্ব, দুর্দান্ত প্রজ্ঞা এবং বিস্ময়কর হাস্যরসের অনুভূতি’ কখনই ভুলবেন না।

ট্রাম্প তার নিজের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, ‘তিনি এক দুর্দান্ত এবং সুন্দরী নারী ছিলেন – তার মতো কেউ ছিল না!’ 

আরেক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, রানি ‘করুণা, কমনীয়তা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের নীতিতে পরিচালিত’ রাজত্ব দিয়ে বিশ্বকে মোহিত করেছিলেন।

একাধিক উপলক্ষে রানির সাথে দেখা করা বারাক ওবামা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বারবার আমরা তার উষ্ণতা, আড়ম্বরপূর্ণ ভাবগম্ভীর পরিবেশেও রসবোধ দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, তিনি ছিলেন এক ‘সদয়-হৃদয় রানি’ যিনি ‘ফ্রান্সের বন্ধু’ ছিলেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আবেগপ্রবণ হয়ে বলেছেন, তার ‘কানাডীয়দের প্রতি গভীর এবং সাশ্বত ভালবাসা ছিল। ’

রানি এলিজাবেথ কানাডার নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রানি  তার শাসনামলে দেশটিতে ১২ জন প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন।
 
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, ‘একটি জটিল বিশ্বে, তার নিষ্কম্প করুণা এবং সংকল্প আমাদের সবার জন্য স্বস্তি এনেছে। ’ ট্রুডো আরো বলেন, তিনি রানির সঙ্গে তার ‘খোশগল্প’ মিস করবেন যা তাঁর ‘চিন্তাশীলতা, জ্ঞান, কৌতূহল’ ইত্যাদিকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতো।  

সূত্র: বিবিসি

LEAVE A REPLY