সুইডেনের জাতীয় নির্বাচন:দুই জোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

স্টকহোমে প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের পোস্টারের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে লোকজন-ছবি: এএফপি

সুইডেনের সাধারণ নির্বাচন রবিবার। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাজনৈতিক জোটের মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। জরিপ মতে, দুই জোটের ভোটের ব্যবধান হতে পারে মাত্র ৬০ হাজার।

গত তিন সপ্তাহে অবশ্য বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের নেতৃত্বে থাকা সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা অনেকটা পিছু হটেছে।

পাশাপাশি উগ্র-ডানপন্থী সুইডেন ডেমোক্র্যাটদের ভোটের সংখ্যাও কাগজের হিসাবে কিছুটা বেড়েছে বলে শেষ মূহুর্তের জরিপে জানিয়েছে দ্য সুইডিশ ইন্সটিটিউট ফর পাবলিক ওপিনিয়ন রিসার্চ (এসআইএফও)।

এসআইএফও-র শনিবারের জরিপে দেখা যায়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট এর নেতৃত্বাধীন জোট পাবে ৪৯.৯ শতাংশ ভোট আর মডারেট দলের প্রধান উলফ ক্রিস্টারসনের নেতৃত্বাধীন জোট পাবে ৪৯ শতাংশ ভোট। মোট ভোটারের সংখ্যা যাচাই করে দেখা গেছে, দুই জোটের মধ্যে ভোটের ব্যবধান হবে মাত্র ৬০,০০০ ভোট।

দুই জোটের সম্ভাব্য ভোটের পার্থক্য এতটাই সামান্য যে দিনশেষে কে বিজয়ীর হাসি হাসবে হবে তা স্থানীয় সময় রাত ৮টার আগে বলা অসম্ভব হবে।

গত চার সপ্তাহ ধরে এসআইএফও দৈনিক ভোটার প্রবণতার রিপোর্ট করেছে, যা শনিবার শেষ হয়। এই সময়ে যে সুস্পষ্ট প্রবণতা দেখা যায় তা হলো, লিবারেল এবং গ্রিন পার্টি উভয়েই পার্লামেন্টে কোনো আসন লাভের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যুনতম চার শতাংশের বাঁধা অতিক্রম করে উল্লেখযোগ্যভাবে উপরে রয়েছে। তারা মডারেট এবং সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের ত্যাগ করা ভোটারদের সমর্থন পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আরেকটি ঘটনা হলো যে, উগ্র-ডানপন্থী সুইডেন ডেমোক্র্যাটরা মডারেট দলের প্রধান উলফ ক্রিস্টারসনের জোটের ঘাঁটিতে নিজেদেরকে বৃহত্তম দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। জরিপে মডারেটদের মাত্র ১৬ শতাংশের বিপরীতে ২০ শতাংশের বেশি সমর্থন পেয়ে সুইডেন ডেমোক্র্যাটরা বিরোধী বৃহত্তম দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে মডারেট দল প্রায় ২ লাখ ভোটার হারিয়েছে এবং তা আরও কমছে।

 তিন সপ্তাহ আগেও সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের প্রতি সমর্থনের মাত্রা ৩৩ শতাংশের বেশি ছিল। এখন তা ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসআইএফও এর মতামত বিষয়ক প্রধান টোইভো সজোরেন বলেছেন, ‘কিছুই নিশ্চিত নয়। এখনও ভোটারদের সামান্য দিক-পরিবর্তন ছাড়াও শেষ দিনের ভোটদান নির্বাচনী ফলাফলকে পাল্টে দিতে পারে। ’

LEAVE A REPLY