ডেনমার্কের অভিবাসন মন্ত্রী কারে ডিবভাদ বেক
ডেনমার্কে থাকতে চাওয়া রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের শিগগিরই আফ্রিকার রুয়ান্ডায় পাঠাতে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে দেশ দুটি। রুয়ান্ডা সফরকালে গত শুক্রবার ডেনমার্কের দুজন মন্ত্রী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ডেনমার্কের বার্তা সংস্থা রিটাজাউ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ডেনমার্কের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী কারে ডিবভাদ বেক এবং সহায়তা বিষয়কমন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মরটেনসেন।
রুয়ান্ডায় একটি সাময়িক শরণার্থীকেন্দ্র স্থাপন করতে আলোচনা করেছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা।
ডেনমার্কের অভিবাসননীতি গত দুই দশক ধীরে ক্রমে বেশ কঠিন হয়েছে। রুয়ান্ডার সঙ্গে আশ্রয়প্রার্থী নিয়ে চুক্তির বিষয়টি ২০২০ সালে প্রথমবার ডেনমার্কের পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়েছিল। সে সময় নিজেদের পক্ষের দলেরও বিরোধিতার মুখে পড়েছিল ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট সরকার।
ডেনমার্কের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে এবং চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এই চুক্তি সরকারের আগাম নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল বলে মত দিয়েছে বিরোধী দলগুলো।
চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যেসব শরণার্থী বা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ডেনমার্কে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করবে, তাদের সরাসরি রুয়ান্ডায় স্থাপিত শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হবে। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য রুয়ান্ডায় বসবাস করবে। ’
রুয়ান্ডার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্প্রতি একই ধরনের একটি চুক্তি হয়েছে। গত জুনে যুক্তরাজ্য থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের বহনকারী একটি বিমান রুয়ান্ডার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। উড্ডয়নের আগে ইউরোপীয় আদালতের আদেশে বিমানটির যাত্রা বাতিল হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আইন ডাবলিন রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ইইউভুক্ত দেশে যদি কোনো ব্যক্তি আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে তার আশ্রয়প্রাপ্তির প্রক্রিয়াটি সেই দেশেই পরিচালনা করতে হবে।
ডেনমার্ক এই আইনে স্বাক্ষর করা দেশগুলোর অন্যতম। তাই রুয়ান্ডার সঙ্গে ডেনমার্কের এই চুক্তি ইইউর আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার শামিল বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।