ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধরে যাওয়া আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকল কর্মীরা
ইউক্রেনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন বেসামরিক অবকাঠামোতে স্থানীয় সময় রবিবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার ঘটনায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পূর্ব ইউক্রেনের বিশাল এলাকা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে রাশিয়া উদ্দেশ্যমূলকভাবে পূর্ব ইউক্রেন জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ‘লোকদের আলো ও তাপ থেকে বঞ্চিত করা’র জন্য হামলাটি চালিয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার ঘটনায় পূর্ব ইউক্রেনের প্রায় ৯০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এসব এলাকার মধ্যে খারকিভ এবং দোনেৎস্ক রয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনের অভিযানের মুখে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকা থেকে পিছু হটে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন আগেই জানিয়েছে, তারা তিন হাজার স্কয়ার কিলেঅমিটারের বেশি জায়গা পুনরায় নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নিয়েছে। যদিও সেই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
গত শনিবার সন্ধ্যায় দেওয়া ভাষণে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা মুক্ত করা হয়েছে। রুশ বাহিনী গত কয়েক দিনে ব্যাপকভাবে পিছু হটেছে। পালিয়ে যাওয়াটাই তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো পথ। ইউক্রেনের মাটিতে দখলদারদের কোনো স্থান নেই এবং কখনও হবেও না।
চলতি বছরের মার্চে কিয়েভ থেকে সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পর থেকে খারকিভ প্রদেশের ইজিয়াম অঞ্চলের দ্রুত পতন মস্কোর জন্য একটি বড় ধরনের পরাজয়। সেখানে গোলাবারুদের মজুদ এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম ফেলে রেখে কয়েক হাজার রুশ সেনার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে গত ছয় মাসের যুদ্ধের একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দৃশ্যত ইজিয়াম অঞ্চলে লজ্জাজনক পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই রবিবার খারকিভ অঞ্চলে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। সেটাকে মস্কোর প্রতিশোধমূলক হামলা বলে মনে করছেন জেলেনস্কি।
এক টুইট বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, কোনো সামরিক স্থাপনায় হামলা করা হয়নি। রুশ বাহিনীর লক্ষ্য হলো- মানুষকে আলো ও তাপ থেকে বঞ্চিত করা।
সূত্র: বিবিসি।