‘গুমের অভিযোগের পর সহযোগিতা করছেন না অভিযোগকারীরা’

গুমের অভিযোগ দাখিলের পর অভিযোগকারীরা কমিশনের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখছেন না। কমিশনের পক্ষ থেকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা ফোন ধরছেন না, কেউ কেউ বলছেন তারা এ বিষয়ে আর আগ্রহী নন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ৫ম মানবাধিকার কমিশনের মেয়াদ পূর্তিতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সকল মন্তব্য করেন কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১১৯টি গুমের অভিযোগ এসেছে। ৬২ জন সরাসরি অভিযোগ দাখিল করেছেন, বিভিন্ন সংস্থা অভিযোগ করেছে ৪৮টি। আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ৯টি অভিযোগ করেছি। এর মধ্যে ফেরত এসেছে ২৮ জন, ৩৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। পরবর্তীতে অভিযোগ দাখিলকারীরা কমিশনকে সহযোগিতা করেনি। ‘

তিনি আরো বলেন, ‘আইনে গুম শব্দটি নেই, নিখোঁজ শব্দটি রয়েছে। আমরা বলব কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ হলে সরকারের দায়িত্ব তাদের খুঁজে বের করা। আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। নিখোঁজের ঘটনার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে সরকারকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘

বক্তব্যে কমিশনকে আরো শক্তিশালী করার দাবি জানান নাছিমা বেগম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা গুমের ঘটনায় কমিশনকে সুয়োমোটো তদন্ত ক্ষমতার দাবি করেন তিনি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘৫ম কমিশন মোট ১৮০৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছে। এরমধ্যে পূর্বের কমিশনেরও অভিযোগ রয়েছে। করোনাকালে কমিশন চিকিৎসার অধিকার সংরক্ষণে ও প্রান্তিক অঞ্চলে খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করেছে। মারামারিতে প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়নে কমিশন সচেষ্ট ছিল। ‘

মত বিনিময় সভায় ৫ম জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মেয়াদকালীন বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরা হয়। উন্মোচন করা হয় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে কমিশন প্রণীত অনলাইন কোর্স এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান, ইনকোয়ারিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে কমিশনের প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক।

LEAVE A REPLY