ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে লেখা বইয়ে অজানা তথ্য

নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক ম্যাগি হ্যাবারম্যানের সদ্যঃপ্রকাশিত বই ‘কনফিডেন্স ম্যান’-এ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জীবনের নানা বিস্ফোরক তথ্য রয়েছে।

লেখকের ভাষ্য, বইয়ের সব কিছু লেখা হয়েছে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। এর মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্টের সহযোগীদের পাশাপাশি ট্রাম্পের নিজেরও তিনটি সাক্ষাৎকার রয়েছে।

তবে বই প্রকাশের পর হ্যাবারম্যানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘কোনো ফ্যাক্ট চেকিং ছাড়াই বইয়ে অনেক গল্প ফাঁদা হয়েছে। ’

হ্যাবারম্যান লিখেছেন, মেয়ে ইভাঙ্কা ও জামাতা জ্যারেড কুশনারকে হোয়াইট হাউসের সিনিয়র সহকারী পদ থেকে বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। বিষয়টি জানিয়ে একটি টুইট করেই ফেলেছিলেন প্রায়। তবে পরে তেমন কিছু করেননি।

ট্রাম্প বেশ কয়েকবার প্রতিবেশী মেক্সিকোর কিছু ওষুধের ল্যাবে বোমা হামলারও চিন্তা করেছিলেন। কারণ দেশের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ট্রাম্পকে পরামর্শ দেন মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আসা অবৈধ ওষুধগুলো উৎপাদন করা ল্যাবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার।

হ্যাবারম্যানের বইয়ে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের বিষয়ও তুলে ধরা হয়। যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের সঙ্গে বৈঠকে উত্তর আয়ারল্যান্ডে নিজের একটি সম্পত্তি রক্ষার প্রসঙ্গেও কথা বলেন ট্রাম্প।

২০২০ সালে নির্বাচনে নিজের পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার পর ট্রাম্প নিউ ইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র ও তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাটর্নি রুডি জুলিয়ানিকে ফোন করেছিলেন। এ সময় তিনি নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে সম্ভাব্য সব কিছু করার নির্দেশ দেন।

রিচার্ড নিক্সনের পর থেকে সব মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বেচ্ছায় তাঁদের ব্যক্তিগত ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করেছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পকে নিজের ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করতে বলেন তাঁর পরামর্শকরা। কিন্তু তিনি তা প্রকাশে অস্বীকৃতি জানান। হ্যাবারম্যানের বইয়ে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের কর্মীরা ট্রাম্পের টয়লেটে কাগজ পড়ে থাকতে দেখেছেন। তাঁদের ধারণা, ট্রাম্প টয়লেটে নথিপত্র ছিঁড়ে ফ্লাশ করতেন। এটি মার্কিন আইনের পরিপন্থী।  
সূত্র : বিবিসি।

LEAVE A REPLY