ইরানের এক তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কুর্দি তরুণী মাসা আমিনি মাথায় বা শরীরে কোনো অঙ্গে আঘাত পেয়ে মারা যাননি। সেরেবাল হাইপোক্সিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ বিকল হয়ে যায় তার।
শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ হেফাজতে মাসা আমিনি মারা যাওয়ার পর ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দুই সপ্তাহ ধরে এটি অব্যাহত আছে।
মাসা আমিনির বাবা দাবি করেছিলেন, তার মেয়ের পায়ে তারা দাগ দেখতে পেয়েছিলেন এবং মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ী করেছিলেন তিনি।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভাইয়ের সঙ্গে রাজধানী তেহরানে এসেছিলেন মাসা আমিনি। ঢিলেঢালা পোশাক এবং ঠিকমতো হিজাব না পরার অভিযোগে তাকে আটক করে ইরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ।’ এরপর পুলিশ হেফাজতে মারা যান তিনি।
ওই তদন্ত কর্মকর্তা তার তদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ করেননি মাসা আমিনি পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, অসুস্থ হয়ে যাওয়ার প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যে মাসা আমিনির শ্বাসযন্ত্র পুনরায় সচল করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এতে তার ব্রেন ড্যামেজ হয়ে যায়।
সূত্র: আল আরাবিয়া