কিউইদের বিপক্ষে ৪৮ রানে হার টাইগারদের

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২০৯ রানের বিশাল টার্গেট টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন। কিন্তু তার একার লড়াই দলের হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে ৪৮ রানেরে বড় ব্যবধানে। 

এতে করে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েছে সাকিব বাহিনী। ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। আগামী ১৪ অক্টোবর হবে ফাইনাল ম্যাচ। তার আগে আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে টাইগাররা। 

বুধবার ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায়। 

কিউইদের দেওয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৪ রানে আউট হন শান্ত। অবশ্য তার আগে তিনি দুবার জীবন পান। তবে সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। 

এর পর আশা জাগিয়েও ব্যক্তিগত ২৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন লিটন দাস। এক বছর পর সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার ২৩ রান করে দলীয় ৯০ রানে আউট হন। এরপর দ্রুতই আফিফ ও রাব্বি বিদায় নিলে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

অন্য প্রান্তে টাইগার ব্যাটারদের আসা যাওয়া দাঁড়িয়ে দেখছিলেন সাকিব আল হাসান। এ সময়ে তুলে নেন অর্ধশত। কিন্তু দলীয় ১৫৩ রানে ৭ম ব্যাটার হিসেবে ব্যক্তিগত ৭০ রানে আউট হন সাকিব। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪৪ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে। শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক ৯ রানে ও সাইফউদ্দিন ৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানে গিয়ে থামে।

কিউইদের হয়ে অ্যাডাম মিল্নে ৩টি, টিম সাউদি ও ব্রেসওয়েল ২টি করে উইকেট নেন। 

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউইদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। দলীয় ৪৫ রানে অ্যালেনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেটে কনওয়ে ও গাপটিল গড়েন ৮২ রানের জুটি। গাপটিল ২৭ বলে ৩৪ রান করে এবাদতের শিকার হলে ভাঙে জুটি। তখন কিউইদের সংগ্রহ ১২৭। তৃতীয় উইকেটে গ্লেন ফিলিপস ও ডেভন কনওয়ে মিলে গড়েন ৩৪ রানের জুটি। দলীয় ১৬১ কনওয়েকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। তার আগে কনওয়ে ৩০ বলে ৩ ছয় ও ৫ চারে সংগ্রহ করেন ৬৪ রান। একই ওভারের চতুর্থ বলে মার্ক চ্যাপমেনকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান সাইফউদ্দিন। 

তবে শেষ দিকে টাইগার বোলারদের ওপর তাণ্ডবই চালান গ্লেন ফিলিপস। ২৪ বলে ৫ ছয় ও ২ চারে ৬০ রান করে টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করেন। দলীয় ২০৫ রানে ফিলিপসকে ফেরান এবাদত হোসেন। নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২০৮ রান।

বাংলাদেশের হয়ে এবাদত ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২টি করে উইকেট পান। শরিফুল নেন একটি উইকেট।

LEAVE A REPLY