ইউক্রেনে রাশিয়ার নতুন করে হামলা

রুশ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র- ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে রাশিয়ার নতুন দফা হামলার বিরাম নেই। বৃহস্পতিবারও নতুন আক্রমণে কিয়েভের কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে রাশিয়া। এ ছাড়া দক্ষিণ ইউক্রেনের শহর মাইকোলাইভে পাঁচতলা একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রুশ হামলায়।

মাইকোলাইভের মেয়র ওলেকসান্দার সেনকেভিচ বলেছেন, শহরটিতে ‘ব্যাপক গোলাবর্ষণ’ হয়েছে।

ভবনে রুশ রকেট আঘাত হানার পর ৩০ বছর বয়সী এক যুবক এবং ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। উদ্ধারকাজ চলমান ছিল।

অন্যদিকে ইউক্রেনও রাশিয়ার শহর বেলগোরদে গোলাবর্ষণ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন আঞ্চলিক গভর্নর ভিয়াচেস্লেভ গ্লাদকভ। তিনি দাবি করেন, বেলগোরদের বাইরের এক গ্রামে স্কুল প্রাঙ্গণে গোলাবর্ষণ করেছে ইউক্রেনের বাহিনী। তবে ওই সময় সেখানে কোনো শিক্ষার্থী ছিল না।

গত সোমবার গভর্নর গ্লাদকভ সম্ভাব্য আক্রমণের সতর্কতা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য অনলাইনে ক্লাস হবে বলে ঘোষণা দেন। এ সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, বিদ্যুত্ স্থাপনায় গোলাবর্ষণের কারণে কিছু সময়ের জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল প্রায় দুই হাজার মানুষ।

ইউক্রেন যুদ্ধের সাত মাস হতে চললেও এর অবসানের কোনো লক্ষণ নেই। বরং তাতে দৃশ্যত নুতন মাত্রা যোগ হচ্ছে।

বেশ আগে থেকেই অস্ত্রবিরতি ও অন্যান্য ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালনের চেষ্টা করে আসছে তুরস্ক। দেশটি ন্যাটো সদস্য হলেও কিয়েভ ও মস্কো উভয়ের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে শস্য রপ্তানি এবং বন্দি বিনিময় প্রশ্নে দুটি উল্লেখযোগ্য সমঝোতা চুক্তি করায়ও ভূমিকা রেখেছে দেশটি। কিন্তু ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে আনা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ‘প্রায় অসম্ভব’ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ বিষয়টি।

জাতিসংঘে নিন্দা

ইউক্রেনের চার অঞ্চল রাশিয়া নিজেদের সঙ্গে জুড়ে নেওয়ায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে এক শরও বেশি সদস্য দেশ। ১৪৩টি দেশ নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ৩৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। এদের মধ্যে রয়েছে চীন ও ভারত। এ ছাড়া নিন্দার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে চার দেশ—বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া ও নিকারাগুয়া।

উদ্যোগটি প্রতীকী হলেও ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে এটিই রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে সর্বোচ্চসংখ্যক ভোট।

গত সপ্তাহে ক্রেমলিনে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনীয় অঞ্চল লুহানস্ক, দোনেত্স্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসনকে রাশিয়ার অংশ করে নিয়ে নথিতে স্বাক্ষর করেন। সূত্র : বিবিসি।

LEAVE A REPLY