একতা কাপুর
তরুণ প্রজন্মের মন ‘দূষিত’ করে তাদের বিপথে চালনা করার অপরাধে একতা কাপুরকে কড়া সতর্কবার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি নিজের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে বিচার বিভাগের সাহায্য চাওয়ায় উল্টো একতা কাপুরকেই ভৎর্সনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত এই চলচ্চিত্র নির্মাতাকে তাদের কাছে আর কোনো আবেদন আনার ব্যাপারে সতর্ক করলেন এবং আদেশ দিলেন যে তিনি এই জাতীয় আবেদন পরবর্তীতে করলে সেটি খারিজ করা হবে।
সুপ্রিম কোর্ট একতার দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানির সময় এই সতর্কবার্তা দেন।
একতা তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। সম্প্রতি একতার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘এএলটিবালাজি’তে প্রচারিত ওয়েব সিরিজ ‘ট্রিপল এক্স’-এ আপত্তিকর বিষয়বস্তুর মাধ্যমে সৈন্যদের অপমান করার এবং তাদের পরিবারের অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ এনে একতা ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক প্রাক্তন ভারতীয় সেনা শম্ভু কুমার। সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে একজন সৈনিকের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করা নারীর কয়েকটি আপত্তিকর দৃশ্য দেখানো হয়েছে। বিহারের বেগুসরাইয়ের একটি ট্রায়াল কোর্ট শম্ভু কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে একতা ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

‘ট্রিপল এক্স’ সিরিজের একটি দৃশ্য
পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুকুল রোহাতগি একতার পক্ষে আদালতে হাজির হয়েছিলেন এবং আদালতকে একতার সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে অতীতেও আদালত একই ধরণের অভিযোগে একতার পক্ষে ছিলেন। অ্যাটর্নি জানান, একতার নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করার স্বাধীনতা আছে এবং যে বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেটি সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক। বিনামুল্যে দেখার মতো নয়। তবে বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং সি টি রবিকুমারের একটি বেঞ্চ একতার সমালোচনা করে বলেন যে, এই ধরনের কাজের মাধ্যমে তরুণ সমাজ প্রভাবিত হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের মন ‘দূষিত’ হচ্ছে। তাদের বিপথে চালনা করা হচ্ছে। কাজের স্বাধীনতা থাকলেই এই ধরনের বিষয়বস্তু দেখাতে হবে? এগুলো তরুণদের কলুষিত করে। জনগণকে ভুল পথে চালনা করে। ’
একতা কাপুর
বেঞ্চ এর পক্ষ থেকে এটিও বলা হয় যে, এই বিষয়ে একটি পিটিশন পাটনা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। তবে বিষয়টি শীঘ্রই শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হবে, এমন কোনো আশা নেই। আদালত থেকে একতাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে এই ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আবারো আদালতের শরনাপন্ন হলে তাঁকে জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। টাকা থাকলে কিংবা ভালো আইনজীবি নিয়োগ করলেই রায় তাঁর পক্ষে যাবে না বলেও জানিয়ে দেন আদালত।
সর্বোচ্চ আদালত আবেদনটি মুলতুবি রাখেন এবং একতাকে পরামর্শ দেন পাটনা হাইকোর্টে মামলার শুনানির জন্য একজন স্থানীয় আইনজীবীকে নিয়োগ দিতে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস