ইউক্রেনজুড়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে রাশিয়া। সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সাহায্যে দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ফলে ব্ল্যাকআউটের কবলে বহু জায়গা।
এ নিয়ে সতর্ক করে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দেশের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সর্বোচ্চ সচেতন হতে হবে।
মঙ্গলবার রাতের ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, যেখানে সম্ভব হচ্ছে বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারে আমরা দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করছি।
ইউক্রেনে হামলা জোরদারের জন্য ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করছে মস্কো। সিএনএনের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন বাহিনীর সাবেক কমান্ডিং জেনারেল মার্ক হার্টলিং অভিযোগ করে বলেন, পুতিনের বাহিনী এখন ফাঁপা। সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল উভয় দিক থেকেই তাদের এ দশা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শাহেদ-১৩৬ ড্রোনের জন্য তাদের এখন ইরানের কাছে হাত পাততে হচ্ছে।
এমন বাস্তবতায় জেলেনস্কিও বলেন, অস্ত্র সহায়তার জন্য রাশিয়া এখন তার মিত্র তেহরানের দিকে হামাগুঁড়ি দিয়েছে, যা দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে রাশিয়া ইরানের কাছে এ ধরনের সহায়তার অনুরোধ করছে। এটি ক্রেমলিনের সামরিক ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের স্বীকৃতি।
রাতের ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এমন সহায়তা কৌশলগতভাবে তাদের কোনো উপকৃত হবে না। বিশ্বকে আরও প্রমাণ করবে রাশিয়া ধ্বংসের দিকে রয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপে তার সহযোগীদের জড়ানোর চেষ্টা করছে।
অবশ্য ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।