শাহরুখপুত্রের মাদক মামলার তদন্তে অনিয়ম, প্রশ্নবিদ্ধ এনসিবি

শাহরুখ খান ও আরিয়ান খান

তদন্তে অনিয়মের জন্য বিপাকে পড়তে যাচ্ছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। কর্ডেলিয়া ক্রুজ ড্রাগ মামলায় এনসিবির তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে, যেটিতে ভারতীয় সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানসহ আরো কয়েকজনকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছিল। এনসিবির একটি বিশেষ অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন জানান দিচ্ছে যে এনসিবি দ্বারা পরিচালিত মামলাটির তদন্তে অনেক অনিয়ম ছিল। খোদ এনসিবি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে মামলাটির বিষয়ে।

প্রতিবেদনে আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে মামলার তদন্তের সময় এনসিবির সাত থেকে আটজন কর্মকর্তা ‘সন্দেহজনক আচরণ’ করেছিলেন।

kalerkantho

প্রতিবেদনে উল্লিখিত ফলাফলগুলো এনসিবি এবং এর কর্মকর্তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে! যারা আরিয়ান খান মামলায় জড়িত ছিল, তারা এখন নিজেরাই প্রশ্নের মুখোমুখি। যদিও শাহরুখপুত্রকে এই মামলায় ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছে আগেই। আরিয়ানকে গ্রেপ্তার ও তদন্তের শুরু থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং চলচ্চিত্রশিল্পের তারকারা অভিযোগ করেছিলেন যে মাদকের এই মামলায় এনসিবি তাদের আদর্শ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তদন্ত সঠিকভাবে হচ্ছে না।

জানা গেছে, এনসিবির বিশেষ তদন্তের সময়, ৬৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছিল এবং দায়িত্বে থাকা অফিসারদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক বিবরণ এবং অন্যান্য আর্থিক বিবরণও যাচাই করা হয়েছিল। এর মধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তা ৩ থেকে চারবার তাদের বক্তব্য পরিবর্তন করেন। বেশির ভাগ কর্মকর্তাই বিভাগের। তবে যারা বর্তমানে বিভাগে কাজ করছেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

kalerkantho

এনসিবির শীর্ষ কর্তাদের দ্বারা গঠিত বিশেষ তদন্তদল (এসআইটি) আজ দিল্লিতে এনসিবি সদর দপ্তরে ‘সতর্কতা প্রতিবেদন’ জমা দিয়েছে। আরিয়ান খান মামলার তদন্তকারী অফিসারদের অনৈতিকতার অভিযোগ তদন্তের জন্য এই এসআইটি গঠন করা হয়েছিল। এসআইটি অন্যান্য কিছু মামলার তদন্তেও ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে।

তদন্তকারী এক এসআইটি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘শাহরুখপুত্রের মামলায় ৭ থেকে ৮ জন এনসিবি অফিসারের ভূমিকা সন্দেহজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এনসিবির বাইরে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিনিয়র অফিসারদের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ’

মামলার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যগুলো ‘কর্ডেলিয়া ড্রাগস মামলায়’ এনসিবির জন্য দ্বিতীয় ধাক্কা। আরিয়ান খানকে এই বছরের মে মাসে আদালত ক্লিন চিট দেওয়ায় প্রথম ধাক্কাটি খেয়েছে এনসিবি। গ্রেপ্তার হওয়ার আট মাস পর ক্লিন চিট পায় আরিয়ান। আরিয়ান খালাস পাওয়ার পর এনসিবি স্বীকার করেছিল যে তারা আরিয়ান এবং অন্য পাঁচজন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ খুঁজে পাননি।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

LEAVE A REPLY