টাইগারদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ম্যাচ

ফাইল ছবি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের বাছাই শুরু হয়েছে ১৬ অক্টোবর। আগামী ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব। এর আগে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করা দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে ওয়ার্মআপ ম্যাচ। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওয়ার্মআপ ম্যাচে ১৭ অক্টোবর আফগানদের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। আজ দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ার্মআপে প্রোটিয়দের মোকাবিলা করবে সাকিব বাহিনী।

বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করা ৮টি দল হলো বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ার্মআপ ম্যাচটি ব্রিজবেনের অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডে শুরু হবে দুপুর ২টায়। এর আগে প্রটিয়োদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সাত বারের দেখায় একবারো জয় পায়নি টাইগাররা। প্রথম ওয়ার্মআপ ম্যাচে আফগানদের কাছে ৬২ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানেও পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে দুইবার করে হেরেছে তারা। অন্যদিকে গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপেও ভালো কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ চলাকালীন ব্রিজবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। আর সকাল ৯টায় ব্রিজবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লড়বে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। প্রথম ওয়ার্মআপ ম্যাচে আফগানিস্তানের করা ৭ উইকেটে ১৬০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ৯৮ রানের বেশি করতে পারেনি সাকিব-সোহানরা। আফগানদের বিপক্ষে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বাংলাদেশের টপঅর্ডার। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেন। ১৯ রানের জুটি গড়েন তারা। জুটিতে ৯ বলে ১২ রান তুলে আউট হন শান্ত। শান্তর আউটের পর ব্যাটিং ধস নামে বাংলাদেশ ইনিংসে। ৬০ রানে অষ্টম উইকেট হারায় তারা। মিরাজ ৩১ বলে ১৬ রানে আউট হন। সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসান করেন ১ রান করে। শূন্য রানে ফেরেন আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলি। নুুরুল হাসান ৮ বলে ১৩ ও তাসকিন ৬ রান করে বিদায় নেন। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন ৩৩ বলে ২৯ ও মুস্তাফিজুর ১৭ বলে ১০ রান করে শুধু হারের ব্যবধান কমান।

টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে আফগানিস্তান। ইব্রাহিম জাদরান ও অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে ৭ উইকেটে ১৬০ রান তোলে তারা। আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন ইব্রাহিম জাদরান। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৯ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৬ রান করেন। শেষ দিকে ১৭ বলে একটি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন নবী। এ ছাড়া হযরতউল্লাহ জাজাই ১৫, রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২৬ ও দারবিশ রাসুলী ১২ রান করেন। ফলে বড় হার নিয়েই প্রথম প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বাংলাদেশ।

এর আগে নিজেদের প্রথম ওয়ার্মআপ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা ৯৮ রানে গুটিয়ে দেয় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। জবাবে ৫২ বল বাকি রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়ারা। ব্রিসবেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১১ রানে কেইন উইলিয়ামসন ও ফিন অ্যালেনকে হারায় ব্ল্যাকক্যাপস। অ্যালেন করেন ৬ রান আর উইলিয়ামসন করেন ৩। দ্রুত দুই উইকেট পতনের পর হাল ধরতে এগিয়ে আসেন মার্টিন গাপটিল ও গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকে থাকা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। কেশভ মহারাজের স্পিন ঘূর্ণিতে নাকাল হয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। গাপটিলের ২৬, ফিলিপসের ২০ ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ১১ ছাড়া দলের হয়ে আর কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। শেষ পর্যন্ত সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৯৮ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড। মহারাজ ১৭ রানে ৩টি উইকেট নেন।

আর ওয়েইন পারনেল ৮ রানে নেন ২ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রেজা হেনড্রিক্স ও রাইলি রুশো মিলে গড়েন ৬৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। ২৪ বলে ২৭ করে হেনড্রিক্স মাঠ ছাড়লেও বাকি কাজটা করে আসেন রুশো আর এইডেন মার্কারাাম মিলে।

৯ উইকেটের বড় জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই দুই ব্যাটার।

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শি

LEAVE A REPLY