২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তর বাজার হবে বলে জানিয়েছে এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চ সেন্টার। সংস্থাটি তাদের এক গবেষণায় জানিয়েছে, বিশ্বের কনজিউমার মার্কেটে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ দ্রুততম প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের কনজিউমার মার্কেট জার্মানি ও যুক্তরাজ্যকেও ছাড়িয়ে যাবে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) ‘দি ফ্লাইং ডাচম্যানের এশিয়াস শপার্স ইন ২০৩০’ শীর্ষক এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্যসূত্র বলছে, এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংকিং এবং অর্থনৈতিক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় বাজার সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান, বৈশ্বিক যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দশকে সারা বিশ্বে বিশেষ করে এশিয়ায় একটি উল্লেখযোগ্য জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এশিয়া আরও পরিণত ও সম্পদশালী হয়ে ওঠার পাশাপাশি এখানকার পারিবারিক কাঠামো আরও ছোট হয়ে আসবে। এতে এশিয়াজুড়ে ক্রেতাদের খরচের রূপরেখায় আমূল পরিবর্তন আসবে।
২০৩০ সালে বাংলাদেশের কনজিউমার মার্কেট যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে যাবে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে কনজিউমার মার্কেটে অন্যতম শীর্ষস্থান অর্জন করবে এশিয়া। চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পর চতুর্থ বৃহত্তম কনজিউমার মার্কেট হিসেবে ব্রাজিলকে অতিক্রম করে যাবে ইন্দোনেশিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল মার্কেট হিসেবে বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে সারা বিশ্বের নবম বৃহত্তম কনজিউমার মার্কেট হবে। বাংলাদেশে এই দশকে পিপিপি হিসাবে জনগণের মাথাপিছু দৈনিক আয় ২০ ডলারের বেশি হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার পরই হবে বাংলাদেশের অবস্থান। বীমা, ফটোগ্রাফি, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, হাউজিং, প্যাকেজ হলিডে, বিনোদন, যানবাহন ক্রয়, আর্থিক এবং অন্যান্য সেবায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে। ২০৩০ সাল নাগাদ সামগ্রিক মার্কেটে পতন দেখবে কোরিয়া এবং জাপান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০৩০ সালে ৮০০ মিলিয়ন এবং ২০৪০ সালে ৮২০ মিলিয়ন কনজিউমার নিয়ে আকারের দিক থেকে বৃহত্তম কনজিউমার মার্কেট হিসেবে চীন তার শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখবে।এমকে