‘দ্য কনজুরিং-৪’ নির্মাণের ঘোষণা, গল্প লিখবেন জনসন ম্যাকগোল্ডরিক

দ্য কনজুরিং

অলৌকিক ভয়ের জগতে ফের প্রবেশ করতে যাচ্ছে ‘দ্য কনজুরিং’। ভৌতিক সিনেমা জগতের অন্যতম ও দর্শকপ্রিয় ‘কনজুরিং ইউনিভার্স’-এর চতুর্থ সিনেমা ‘দ্য কনজুরিং-৪’ নির্মাণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।  ‘দ্য কনজুরিং-৪’ লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেভিড লেসলি জনসন ম্যাকগোল্ডরিককে, যিনি ‘দ্য কনজুরিং-২’ এবং ‘দ্য কনজুরিং : দ্য ডেভিল মেড মি ডু ইট’ লিখেছেন। বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয়ের পথে উন্নীত করতে এই লেখকের ভূমিকা বরাবরই প্রশংসনীয় ছিল।

লেখক জনসন ম্যাকগোল্ডরিকের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে। ২০০৯ সালের হরর ফ্লিক ‘অরফান’-এর স্ক্রিপ্ট লেখার সময় থেকেই তিনি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ‍সুনজরে ছিলেন।  পরে তিনি ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিওর জন্য ‘রেড রাইডিং হুড’ এবং ‘র‌্যাথ অব দ্য টাইটানস’ লিখেছেন। অতি সম্প্রতি তিনি ‘অ্যাকোয়াম্যান’-এ কাজ করেছেন, যেটি ১ বিলিয়নেরও বেশি আয় করেছে এবং ‘অ্যাকোয়াম্যান’-এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাকোয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম’ লিখেছেন, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে।  

kalerkantho

‘দ্য কনজুরিং-৪’-এর প্রযোজনায় ফিরে আসছেন জেমস ওয়ান এবং পিটার সাফরান। কনজুরিংয়ের সঙ্গে জেমস ওয়ান ওতপ্রোতভাবে জড়িত।  কনজুরিং ইউনিভার্সের আসন্ন সিনেমা ‘দ্য নান-২’সহ আগের সাতটি সিনেমার নির্মাণের পেছনে জেমস ওয়ান এবং তাঁর টিম প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। হলিউডে ভৌতিক চলচ্চিত্র নির্মাণকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন জেমস ওয়ান।  

কনজুরিং সিনেমাগুলো মূলত প্যারানরমাল ঘটনা নিয়ে নির্মিত। প্যারানরমাল ঘটনার তদন্তকারী দম্পতি এড এবং লরেন ওয়ারেনের বাস্তব জীবনের কেস ফাইলগুলোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে সিনেমাগুলো। যদিও আসন্ন সিনেমাটির কেসটি গোপন রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।  

kalerkantho

প্যাট্রিক উইলসন এবং ভেরা ফার্মিগা আগের তিনটি সিনেমায় ওয়ারেন স্বামী-স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সেই সঙ্গে কনজুরিংয়ের স্পিনঅফ ‘অ্যানাবেল কামস হোম’-এ এই জুটিকে দেখা গেছে। ‘কনজুরিং ৪’-এ এই দুজন আবারও পর্দায় আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও বর্তমানে সিনেমাটির সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি এই দুই তারকার।  

kalerkantho

‘দ্য কনজুরিং’ সিনেমাটি ২০১৩ সালের গ্রীষ্মে মুক্তি পেয়েছিল। ২০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৩২০ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করে ইতিহাসের সবচেয়ে লাভজনক হরর চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠে। এরপর একে একে আরো দুটি পর্ব মুক্তি পায় সিনেমাটির এবং প্রত্যেকটিই ব্যবসাসফল ছিল। ২০১৬ সালে ‘কনজুরিং-২’ এবং ২০২১ সালে ‘কনজুরিং : দ্য ডেভিল মেড মি ডু ইট’ মুক্তি পায় এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়। বিশ্বজুড়ে ভৌতিক সিনেমার জগতে ‘কনজুরিং’ অনন্য এক নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সিনেমা হলে কনজুরিং দেখতে গিয়ে ভয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

সূত্র : দ্য হলিউড রিপোর্টার।

LEAVE A REPLY