ফাইল ছবি
নির্বাচনে জেতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় বারবার বিট্রেনের মানুষের করছাড়ের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছেন লিজ ট্রাস। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েই তিনি সাধারণ জনগণকে করছাড়ের সুবিধা দিয়েছেন।
এবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গিয়ে করদাতা সেই সাধারণ জনগণেরই বোঝা বাড়ালেন লিজ ট্রাস। করদাতাদের টাকায় প্রতিবছর অন্তত এক কোটি ৩১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা করে পাবেন তিনি।
নেশন ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্রিটিশ পাউন্ডে যা এক লাখ ১৫ হাজার।
গত বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লিজ ট্রাস। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ঠিক ছয় সপ্তাহের মাথায় ইস্তফার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
তার আগে আর কোনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে এত স্বল্প সময়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়নি। একই সঙ্গে লিজ ট্রাসের মতো আর কাউকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিজের দলেরই সদস্যদের বিরোধিতার মুখোমুখিও হতে হয়নি।
কনজারভেটিভ পার্টির ১৩ জন সংসদ সদস্য সরব হয়েছিলেন লিজ ট্রাসের ইস্তফার দাবিতে। তবে ৪৫ দিনের প্রধানমন্ত্রী হয়েও ‘লাভবান’ই হলেন লিজ ট্রাস। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিবছর তাকে এক লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড অর্থ দেওয়া হবে।
ব্রিটেনের এই আইনের নাম পাবলিক ডিউটি কস্ট অ্যালাউন্স (পিডিসিএ)। ১৯৯০ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার ইস্তফা দেওয়ার পর তার উত্তরসূরি জন মেজর এই নিয়ম চালু করেন। তার পর থেকে ব্রিটেনের বহু প্রধানমন্ত্রীই এই অর্থ পেয়েছেন এবং নিয়েছেন।
এই আর্থিক ব্যয়ভারের ব্যাখ্যা দিয়ে ব্রিটেনের প্রশাসন জানিয়েছে, জনমানসে এই ব্যক্তিত্বদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই তাদের জনহিতকর কাজ এবং কর্মচারী রাখার খরচের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু তার ভার বহন করতে হয় দেশের মানুষকেই।
সূত্র : নেশন ওয়ার্ল্ড।
