যে কারণে জন্মদিন উৎসবে কাঁদলেন পরী-রাজ

রাজধানীর বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে সোমবার জন্মদিন পালন করলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এদিন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে সৃষ্টি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করা যায়নি। 

তবে পরীর এবারের জন্মদিনটি ছিল বিশেষ কিছু। কারণ, এই প্রথম জন্মদিনে তিনজন প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন পরীমনি। তারা হলেন – স্বামী চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ, ছেলে রাজ্য ও পরীমনির নানাভাই।

আর বিশেষ দিনে এই তিন বিশেষ মানুষকে পাশে পেয়ে কাঁদলেন পরীমনি। তা ছিল সুখের কান্না। পরীর সঙ্গে কাঁদলেন শরিফুল রাজও। 

জন্মদিনের আয়োজনে চমক হিসেবে প্রদর্শন করা হয় পরীমনির জীবনভিত্তিক ডকু ফিল্ম ‘নতুন জন্মের গল্প’ । রুদ্র হক নির্মিত এই ডকু ফিল্মটি পরী-রাজ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের সঙ্গে উপভোগ করেন।

ডকু ফিল্মে দেখা যায়, রাজের সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর গল্প। এরপর বিয়ে ও মা হওয়ার নন্দিত উপাখ্যান। রাজ্যকে পাওয়ার পর অনুভূতি। 

আর ডকু ফিল্মের এসব দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পরী-রাজ। এক পর্যায়ে পরী-রাজ পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আবেগে কেঁদে ফেলেন। সেই আবেগঘন মুহূর্ত ছুঁয়ে যায় জন্ম উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের হৃদয়ও। তাদের চোখ ভিজে যায় সেই মুহূর্তে।

পরীমনি নিজের জন্মদিনে ছেলের কথাই বললেন বেশি। তিনি বললেন,  ‘মাতৃত্ব মানেই শুভ্রতা, মাতৃত্ব মানেই শান্তি।’

‘বিশ্বসুন্দরী’ তারকা আরও বলেন, এবারই প্রথম আমার জন্মদিনে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নেবেন স্বামী শরিফুল রাজ। গতবার জন্মদিনেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তখন বিয়ের কথা গোপন ছিল। গতবার জন্মদিনের এক সপ্তাহ আগে বিয়ে হয়েছিল তাদের। 

স্বাভাবিকভাবে তারকাদের নানা কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বলে জানা যায়। তবে তারকা না হলেই বোধহয় ভালো হতো, কখনো এমনটি মনে হয়েছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে অবাক করার মতো জবাব দিলেন পরী।

বলেন, ‘অনেকের শত্রু হয়ে গেছি আমি। মাঝে মাঝে মনে হয়, সাফল্য শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার। এ ছাড়া একটি বিষয় কষ্ট দেয় আমাকে। আমাদের দেশের শিল্পীদের যথাযথ সম্মান করা হয় না।’

LEAVE A REPLY