ইন্দোনেশিয়ায় নৌকায় আগুন লেগে ১৩ জনের মৃত্যু

পূর্ব ইন্দোনেশিয়ায় শতাধিক যাত্রী বহনকারী একটি নৌকায় আগুন লেগে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ অক্টোবরের ওই ঘটনায় প্রাদেশিক রাজধানী কুপাং থেকে আলোর দ্বীপের কালাবাহি শহরে যাওয়ার সময় নৌকাটির উপরের ডেকটি জ্বলে ওঠে।

একজন পরিবহন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেএম এক্সপ্রেস ক্যান্টিকা ৭৭ পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশের তিমুর দ্বীপের উপকূলে অগ্নিকাণ্ডে বিস্ফোরিত হলে যাত্রীদের
জীবন বাঁচাতে ওভারবোর্ডে লাফ দিতে হয়েছে। খবর এএফপির।

পূর্ব নুসা টেঙ্গারার পরিবহন সংস্থার প্রধান ইস্যাক নুকা জানিয়েছেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে ২৫৪ জন যাত্রী এবং ক্রুদের মধ্যে ২৪১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা
হয়েছে। ১৩ জন মারা গেছেন। অন্য ২৪১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নৌকায় আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি।

এদিকে স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান আই পুতু সুদায়না এএফপিকে জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ১৪ জনের বেশি এবং যাত্রী ও ক্রু সংখ্যা ২৪০ জন । আমরা
২৪০ জনকে সরিয়ে নিয়েছি, ১৩ জন মারা গেছেন, ২২৬ জন বেঁচে গেছেন।

কর্তৃপক্ষ তিনটি উদ্ধারকারী নৌযান পাঠিয়েছে এবং স্থানীয় জেলেরা তাদের নিজস্ব নৌকায় করে অনুসন্ধানের কাজে সাহায্য করেছে। নুকা বলেন, আগুন ও প্রবল স্রোতের
কারণে উদ্ধারকারীরা জাহাজের কাছে যেতে হিমশিম খাচ্ছে।

কিছু বেঁচে থাকা আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা করা হবে এবং মৃতদের শনাক্ত করার জন্য কুপাংয়ের একটি পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে অনেকেই আগুন লাগার পর লাইফ ভেস্ট ব্যবহার করেছিলেন এবং কেউ কেউ সরাসরি সাঁতরে তীরে এসেছিলেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, নৌকাটির ধারণক্ষমতা ২৫০ জন।

২০১৮ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বিশ্বের গভীরতম হ্রদে একটি ফেরি ডুবে ১৫০ জনেরও বেশি লোক মারা যান।

LEAVE A REPLY