অনুষ্ঠানে ডা. হারুন-অর-রশিদকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি- কালের কণ্ঠঅ
চিকিৎসা শাস্ত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য ২০২০ সালের খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা স্বর্ণপদক পেলেন বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন-অর-রশিদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পদক তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ‘আজ যার নামে এ পদকটি দেওয়া হচ্ছে, সেই খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা বহুমুখী প্রতিভার মানুষ। তিনি একজন ক্ষণজন্মা মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি যে অবদান রেখেছেন সেটা সবার সামনে আসা দরকার। ’
তিনি আরো বলেন, ‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ধর্মভীরু ছিলেন। কিন্তু ধর্মান্ধ ছিলেন না। তার জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। ’
পদক গ্রহণকালে অধ্যাপক ডা. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘কিভাবে কিডনি ডায়ালিসিসে খরচ কমানো যায় ও সূচনাতেই কিডনি রোগের নির্ণয় করে নিরাময় করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মানুষকে সচেতন করা অনেক কঠিন কাজ। এ কঠিন কাজটিই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। ’
বয়স ৪০ বছর হলেই একজনের ইউরিন ও ব্লাড সুগার টেস্ট করা জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শমশের আলী, কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌস রশিদ, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শরীফুল আলম ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. এম এহ্ছানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সমকালীন কৃতী ব্যক্তিত্বদের প্রতিভা ও অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ের একজন কৃতী ব্যক্তিত্বকে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা স্বর্ণপদক প্রদান করে আসছে। এর মূল্যমান দুই ভরি পরিমাণ একটি স্বর্ণপদক, নগদ দুই লাখ টাকা, মনোগ্রাম সংবলিত একটি ক্রেস্ট, একটি সনদপত্র ও খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা রচিত বই।