ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রোপা আমনসহ কৃষকের অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শীতকালীন সবজির মাঠ। আর এর প্রভাব পড়েছে সবজি বাজারেও। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্গে দাম বেড়েছে শীতকালীন সবজিরও। কমেনি, ডিম, চিনি, মাছ, মাংস ও চালের দাম।
ব্যবসায়ীরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে দামও বেশি। এছাড়া চলতি সপ্তাহ থেকে ব্যবসীয়ারা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০-৩০ টাকা বেশিতে চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১১০-১২০ টাকা দামে। এছাড়া বাজারে মাছ, মাংস, সবজি, চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে চিচিঙ্গা, বেগুন, পটল, ঢ্যাঁড়স ও কাঁকরোলসহ সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে অন্তত ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বাজারে। গত সপ্তাহে যা ছিল ২০-২৫ টাকা। এছাড়া পটল ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, শিম ১০০-১২০ টাকা, টমেটো ও গাজর ১৪০ টাকা, বরবটি ৯০-১০০ টাকা, করলা ৬০-৬৫ টাকা, ফুলকপি প্রতি জোড়া ১৩০ টাকা, বাঁধা কপি ৬০ টাকা, লাউ ৪০-৭০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, মানভেদে কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা ও চিচিঙ্গা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টানা বৃষ্টিতে অনেক কৃষকের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। এর ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজির জোগান অনেক কমেছে।
তবে সবজির দাম বাড়লেও স্থিতিশীল আছে ডিম ও মাংসের বাজার। ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৪৫ টাকা, হাসের ডিম ২১০ আর দেশি মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০, পাকিস্তানি কক ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৩০-৫৫০ টাকায়, দেশি হাঁস ৪২০-৪৫০ কেজি আর কবুতর প্রতি জোড়া বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। অন্যদিকে গরু ও খাসির মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজারে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) গরুর মাংস ৭০০ টাকা আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা দরে।
বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে চালের দামও। চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৩-৭৫ টাকা, আটাশ ৫৫-৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৮৩-৯১ টাকা, মোটা চাল ৪৮-৫৫ টাকা, চিকন চাল ৭০-৮০ টাকা, কাটারি ৬০-৬৫ টাকা, আটাশ ৪৮-৫৫ টাকা এবং পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা কেজি দরে।এনজে