বাধা পেরিয়ে রংপুরমুখী নেতাকর্মীদের ঢল

কোনো বাধাই আমলে নিচ্ছে না বিএনপি। বাস বন্ধ তা নিয়েও বিচলিত নন দলটির নেতাকর্মীরা। যে কোনো মূল্যে গণসমাবেশে যেতে হবে এটাই তাদের শেষ কথা। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসাবে ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল, ট্রেনে, নৌপথে কিংবা হেঁটে তারা রংপুর শহরে পৌঁছেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে শুরু করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সেখানেই তারা রাত্রিযাপন করেন। আজ শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে গণসমাবেশ।

এদিকে বাস বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। পরিবহণ না থাকায় হেঁটে কিংবা নসিমন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় তারা গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করেন। ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়তি টাকাও গুনতে হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা যায়। অনেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতদিন দেখে আসছি বিরোধী দল হরতাল, অবরোধ ও ধর্মঘটের ডাক দেয়। কিন্তু এখন দেখছি সরকার অবরোধ ডাকছে।

গণসমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কথার উত্তেজনা থাকলেও এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার শহরের কোথাও ক্ষমতাসীনদের তৎপরতা ছিল না। দিনভর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান দেখা যায়নি। মোড়ে মোড়ে পুলিশ দেখা গেছে। কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ছাত্রাবাস, সন্দেহজনক বাসাবাড়ি, নেতাদের বাসা ও আবাসিক হোটেলে পুলিশি তল্লাশি চালিয়ে আসছে।

সমাবেশ ঘিরে জামায়াত-শিবিরের নাশকতার ছক সম্পর্কে পুলিশের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক এবং দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। এদিকে সমাবেশ ঘিরে প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। নিরাপত্তার কৌশল নিয়ে শুক্রবার পুলিশের উচ্চপর্যায়ে কর্মকর্তারা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন।

সমাবেশকে সফল করতে শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে মাইকে প্রচার চালাতে দেখা যায়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সড়কে শোভা যাচ্ছে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিসংবলিত ব্যানার ফেস্টুন।

এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার সমাবেশেও বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামের সমাবেশে যোগ দেওয়ার পথে বিক্ষিপ্ত হামলা ও বাধা আসে। খুলনায় শুধু বাধা আসেনি, সংঘর্ষও হয়েছে। রংপুরেও বাধা আসবে তা অনুমেয় ছিল। এমনটা ধরে নিয়ে আগেভাগেই নেতাকর্মীরা বিকল্পপন্থায় আসার সিদ্ধান্ত নেন। দুদিন আগ থেকেই রংপুর বিভাগের ৮ জেলার নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল অভিমুখে আসতে শুরু করেন। থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় শহরতলির বিভিন্ন পরিত্যক্ত ভবন ও ফাঁকা মাঠে শামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান করেন নেতাকর্মীরা।

বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা শহরের নানা জায়গায় অবস্থান নেন। সন্ধ্যার পর তারা একত্রিত হয়ে ব্যানারসহকারে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যান।

এর আগে সকালে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, তখনো মঞ্চের কাজ চলছিল। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা তা দেখভাল করছেন। সেখানে রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের প্রতি সম্মান জানিয়ে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে মঞ্চ তৈরিসহ অন্যান্য প্রস্তুতির কাজ চালাচ্ছি। গণসমাবেশ সফল করতে এক মাস ধরে রংপুর বিভাগের সব জেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রংপুরের গণসমাবেশ হবে একটি পরিচ্ছন্ন সমাবেশ। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, তৃণমূল, নগর, শহর এবং বন্দরের সাধারণ মানুষরাও সমাবেশে যোগ দেবেন।’

প্রায় একশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রৌমারী থেকে এসেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান। গত সংসদ নির্বাচনে ওই আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন তিনি। আজিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত দুটায় প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে রওয়ানা দিয়ে কয়েকটি নৌকাযোগে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে দুপুরে সমাবেশস্থলে এসেছেন। পরিবহণ ধর্মঘট থাকায় পুলিশি হয়রানি এড়াতে তারা নদী পাড়ি দিয়ে হেঁটে অটোবাইকে করে সমাবেশে এসেছেন। সকালের নাস্তা করেছেন পথের মাঝে। একইরকম তথ্য দিয়েছেন রৌমারী উপজেলা কমিটির যুবদলের সদস্য সচিব মশিয়ার রহমান পলাশ। তিনি জানান, গভীর রাতে নৌকাযোগে নদীপথ পাড়ি দিয়ে তারা এসেছেন। তাদের উপজেলা থেকে প্রায় চার হাজার কর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন। পুলিশের হয়রানি এড়াতে তারা বিভিন্ন পথ ঘুরে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে রংপুরে এসেছেন।

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন থেকে পঙ্গু আজিজার রহমান এসেছেন সমাবেশে। ক্রাসে ভর দিয়ে হেঁটে আবার কখনো অটোবাইকে রংপুরে এসেছেন। তার সঙ্গে আরও ২০ জন দিনমজুর এসেছেন। তিনি বর্তমান নিয়মিত সরকারের পঙ্গুভাতা পেয়ে আসছেন। তারপরও আড়াইশ টাকা খরচ করে রংপুরে এসেছেন। কেন এ অবস্থায় দীর্ঘপথ সমাবেশে এসেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার আমলে জিনিসপত্রের দাম ক্রয় ক্ষমতার সীমার বাইরে চলে গেছে। গত নির্বাচনে তিনি নিজে ভোট দিতে পারেননি। এই ক্ষোভ থেকে সমাবেশে আসা।’

প্রবাসীদের সহায়তা : সমাবেশ সফল করতে বিএনপির জার্মান, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, মালোয়শিয়া শাখার পক্ষে খাবার পানি, স্যালাইনসহ আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন স্পেন প্রবাসী বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক জাকিউল ইসলাম জাকি ও সহ-সভপতি মনোয়ার হোসেন মনু।

চিকিৎসা কেন্দ্র : সমাবেশ ঘিরে ড্যাবের পক্ষ থেকে চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে সংগঠনের চিকিৎসকরা অবস্থান করছেন।

জরুরি প্রয়োজনে রক্তের ব্যবস্থা : শহিদ জিয়া ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশন ও জিয়া পরিষদ থেকে জরুরি রক্তের প্রয়োজনে তা সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।

দলীয় নিরাপত্তা : সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দলের পক্ষ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। কর্মসূচি শেষ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তারা। সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য জাসাসের কেন্দ্রীয় শিল্পীরা রংপুরে অবস্থান করছেন।

আ.লীগ-বিএনপির পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলন : শুক্রবার রংপুর নগরীতে পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দুপুর ১২টায় বেতপট্টির দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহানগর কমিটির সভাপতি সাফিউর রহমান সফি রংপুর শহরে আওয়ামী লীগের সাঁটানো বিলবোর্ডের ওপর বিএনপি বিলবোর্ড সাঁটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপির গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণ হোক। কিন্তু বিএনপির লোকেরা পায়ে পা রেখে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে। রংপুরে বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করা হবে।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের বিলবোর্ডের ওপর লাগানো বিলবোর্ড দ্রুত সরিয়ে না নিলে এর জন্য কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে দায়ভার বিএনপিকেই নিতে হবে।’

এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশাদ রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাহেল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিভূতিভূষণ সরকার সুমন, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদ আরমান, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সাফিউর রহমান স্বাধীনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে বিকাল ৪টায় নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ স্থলে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। এ সময় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, সরকার পরিবহণ মালিকদের দিয়ে ধর্মঘট ডাকিয়ে সমাবেশ থামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে লাভ হয়নি। বাধা পেরিয়ে মানুষ সমাবেশে আসছে। ধারণার চেয়ে সমাবেশে বেশি লোকসমাগম হবে।

দলটির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ বলেন, সমাবেশ সফল করার জন্য নেতাকর্মীরা অমানবিক কষ্ট করেছেন। অন্যদিকে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে হুমকি দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশ আয়োজন কমিটির সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু, যুবদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষক দল সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহসান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুর রহমান রানা, ফরহাদ হোসেন আজাদ, বিলকিস ইসলাম, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামু, জেলার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান, মহানগরের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডনসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া : শুক্রবার দুপুরে বগুড়া শহরের চারমাথায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, তিন মাথা, বনানী, লিচুতলা, বারপুর ও মাটিডালি মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, বগুড়া থেকে রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়সহ আটজেলার কোনো বাস ছাড়েনি। অন্যদিকে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ থেকে আসা বাসগুলো বগুড়ায় এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে টার্মিনাল ও গ্যারেজে রাখা হচ্ছে। এতে ওইসব জেলায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বগুড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কথা হয় আহমেদুর রহমান দুলাল নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গাইবান্ধা যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন, স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান। বগুড়ায় পৌঁছার পর বাসের হেলপার তাদের ভাড়া ফেরত দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অধিক ভাড়ায় গাইবান্ধার দিকে রওয়ানা দেন।

রাজশাহী : বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে রংপুরের উদ্দেশে সর্বশেষ বাসটি ছেড়ে যায়। শুক্রবার সকালে রাজশাহীর ভদ্রা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় দেখা গেছে, রংপুরগামী কোনো বাস নেই। তবে অন্য গন্তব্যের বাসগুলো যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে রংপুরের যেসব বাস রাজশাহীতে আসে সেগুলোও শুক্রবার রাজশাহীতে আসেনি।

গাইবান্ধা : জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রংপুর ও বগুড়া রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিক-শ্রমিক ইউনিয়ন। শুক্রবার ভোর থেকে এ দুই রুটের কোনো বাস ছাড়েনি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এ ছাড়া হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় দৈনিক মজুরিতে কর্মরত শ্রমিকরা বিপাকে পড়েন।

তারাগঞ্জ (রংপুর) : উত্তরবঙ্গে সবজির বড় পাইকারি বাজার তারাগঞ্জ। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সবজি ব্যবসায়ীরা এখানে এসে সবজি কিনে নিয়ে যান। কিন্তু যানবাহন না চলায় চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। সবজি বিক্রি করতে না পারায় লোকসানে পড়তে হয়েছে তাদের। নিরুপায় হয়ে কৃষকেরা তাদের সবজি স্থানীয় পাইকারদের কাছে পানির দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। বেগুন চাষি অবিনাস রায় বলেন, গত হাটে বেগুন ১৫ টাকা কেজি দরে মন ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু আজ (শুক্রবার) হাটে পাইকার নাই। ১০ টাকা কেজিতে স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছি। পটোল চাষি রহিম বলেন, গত হাটে ২০ টাকা দামে পটোল বিক্রি করেছিলাম আজ (শুক্রবার) ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হয়েছে।

পীরগঞ্জ (রংপুর) : পীরগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল, টেম্পো ও অটোতে গণসমাবেশে যোগ দেবেন। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর সাইফুল আজাদ বলেন, আমরা যে করে হোক গণসমাবেশে যোগ দেব। পীরগঞ্জ উপজেলা ও পীরগঞ্জ পৌর বিএনপির ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার নেতাকর্মীকে আমরা সমাবেশে নিয়ে যাব। এজন্য অটো, ভটভটি, টেম্পো ভাড়া করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY