সংগৃহীত ছবি।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের (এসসিএমপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের এক ব্যক্তি একটি জীবন্ত কাঁকড়া খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কাঁকড়াটি তার মেয়েকে চিমটি কেটেছিল, যার প্রতিশোধ নিতে গিয়েই তিনি এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
অসুস্থ হওয়া ৩৯ বছর বয়সী লু পূর্ব চীনের ঝেজিয়াংয়ের বাসিন্দা বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তিনি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে এ কাজ করেছেন।
তিনি কাঁকড়াটি তুলে নিয়েছিলেন এবং জীবিত থাকতেই পুরোটা গিলেছিলেন।
এ ঘটনার দুই মাস পর পিঠে প্রচণ্ড ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে যান লু। এরপর চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করে চিকিৎসা শুরু করেন।
এসসিএমপি আরো জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় তার বুক, পেট, লিভার এবং পাচনতন্ত্রের প্যাথলজির পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে চিকিৎসকরা এর সঠিক কারণ সনাক্ত করতে পারেননি। তারা লুকে বারবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তার সঙ্গে অস্বাভাবিক কিছু ঘটেছে কিনা।
ওই হাসপাতালের পরিপাকতন্ত্র বিভাগের পরিচালক ডা. কাও কিয়ানকে উদ্ধৃত করে এসসিএমপি বলেছে, ‘আমরা তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করেছি যে তিনি কখনও অস্বাভাবিক কিছু খেয়েছেন কিনা, যা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। তিনি সব সময় না বলেছেন। ‘
লুর স্ত্রী প্রথমে চিকিৎসকদের কাছে কাঁকড়া খাওয়ার ঘটনাটি উল্লেখ করেছিলেন। পরে লু নিজেও স্বীকার করেন।
ডা. কিয়ান বলেছেন, ‘আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি কেন জীবন্ত কাঁকড়া খেয়েছেন?’ তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার মেয়ের হয়ে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলাম। ‘
চিকিৎসকরা পরীক্ষার জন্য লুর রক্তের নমুনা নিয়েছিলেন। তারা জানিয়েছেন, লু কাঁকড়া খাওয়ার কারণে কমপক্ষে তিনটি পরজীবী দিয়ে সংক্রামিত হয়েছিলেন।
পরে লু সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং সোমবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাকে নিয়মিত চেক আপ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দ্য টেলিগ্রাফের মতে, চীনজুড়ে কাঁকড়া খাওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি রান্না করে খাওয়া হয়। তবে কিছু অঞ্চলে, বিশেষ করে পূর্ব চীনে কাঁচা কাঁকড়া খাওয়া হয়।
এর আগে ২০২০ সালে চীনের হ্যাংজুতে একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তখন একজন নারী ৩০টি কাঁচা কাঁকড়া খাওয়ার পর ছয় মাস ধরে ফুসফুসে তরল জমা এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন।
সূত্র : এনডিটিভি।