১৫ নভেম্বরের মধ্যে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্নের আশ্বাস

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান জানান, আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এরই মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আমরা সম্পন্ন করেছি।

আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে বদলি হয়ে যাওয়ায় তিনি এই সভার আয়োজন করেন।

সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান জানান, আগেই ফলাফল দেওয়ার অঙ্গীকার থাকলেও দেরি হচ্ছে।  আগে যারা শিক্ষক ছিলেন তাদের বদলির বিষয়ে আবেদন করা ছিল। ফলে এ কাজটি আগে করা হচ্ছে। আবার কভিডের কারণেও দেরি হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন পদ শূন্য রয়েছে, সেখানে মামলা চলমান আছে। তা নিষ্পত্তিরও চেষ্টা করছি। যেসব কর্মকর্তা দীর্ঘকাল একই স্টেশনে আছেন, তাদের প্রতি তিন বছর পর পর বদলি করার বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে। আবেদন বা প্রশাসনিকভাবে তাদের বদলি করা যাবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে বদলি কার্যক্রম পরিচালনায় নীতিমালাও তৈরি করা হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান আরো জানান, সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যাকে বিবেচনায় রেখে আগামী বছর থেকে সব প্রাথমিকে এক শিফটে ক্লাস পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কোথাও শিক্ষার্থী কম, আবার কোথাও জায়গা কম। বিভাগ, জেলা বা উপজেলা অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নির্ভুলভাবে করার চেষ্টা করছি, আগামী জানুয়ারি থেকে পুরোটা না হলেও অনেকটাই করতে পারব।

আমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের এক থেকে তিন রুমের স্কুল রয়েছে। দুই রুমে ছয়টি ক্লাস চালানো সম্ভব না। রাতারাতি ভবন নির্মাণও অসম্ভব। এক শিফটে হলে আমরা তিন ঘণ্টার জায়গায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পড়াতে পারব। এতে কোনো শিক্ষক চাকরি হারাবেন না, আবার স্কুলও বন্ধ হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, দুই কক্ষ থাকলে তাতে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের ক্লাস চলবে। বাকি ক্লাস নিকটবর্তী স্কুলে করানো হবে। আবার যেখানে ভবন করা যাবে, সেখানে তা নির্মাণ করা হবে। আমরা আশা করছি দেশের সব সরকারি প্রাথমিক স্কুলকে এক শিফটে নিয়ে আসতে পারব। শিফট বেড়ে যাওয়ার ফলে পড়ানোর সময় কমে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রায় ৬৫ হাজার ৬০০টির মতো স্কুল রয়েছে। সেখানে এক শিফটের স্কুলসংখ্যা ৮ থেকে ৯ হাজারের মতো। সারা দেশে একই সময়ে স্কুল চালু এবং শেষ করতে পারলে ভালো হয়। আমাদের ১৪ হাজার ৮৮৪টি স্কুলে সাতটি বা তার অধিক ক্লাসরুম আছে। এর মধ্যে এখনো ১০ হাজার ৯১৫টি স্কুলে দুই শিফটে পাঠদান কার্যক্রম চালু আছে। এগুলোর মধ্যে তিন হাজার ৩৩৭টি স্কুলে শিক্ষকসংখ্যা বেশি। সেগুলো এক শিফটে করে নিচ্ছি। আবার অনেক জায়গায় আছে দুই শিফটে পরিচালিত হয়, কিন্তু শিক্ষার্থীসংখ্যা কম সেগুলোর সংখ্যা ১৩ হাজার ৮০৯টি। যার মধ্যে এক হাজার ৩৪৮টি বিদ্যালয়ে রুমের সংখ্যা সাত বা তার বেশি। আমাদের ৯ হাজার ১৯৫টি বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের সংখ্যা তিন থেকে ছয়টি। এ ছাড়া ৬৩৩টি বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের সংখ্যা দুই বা তার কম।  

ক্লাসের সময়ের বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব স্কুল গ্রামে রয়েছে সেখানে একটু দেরি করে ক্লাস শুরু হয়। স্কুল গ্রামে হলেও অনেক শিক্ষক শহরে থাকেন, ফলে সময়ের বিষয়টাও পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাতায়াতের বিষয়টিও চিন্তা করছি, তবে কে কোথায় রয়েছেন তা মুখ্য বিষয় নয়। আমরা চাই তাদের উপস্থিতি যেন নিশ্চিত করা যায়।

LEAVE A REPLY