ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইউক্রেন।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এমন দাবি তুলেছেন। শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট ‘জি-২০’ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারেরও আহ্বান জানান ওলেগ নিকোলেঙ্কো। খবর আল জাজিরার।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, পুতিন প্রকাশ্যে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক এবং জ্বালানি অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তার হাত রক্তে রঞ্জিত। তাকে বিশ্বনেতাদের টেবিলে বসতে দেওয়া উচিত নয়। বালি শীর্ষ সম্মেলনে পুতিনের আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করতে হবে এবং রাশিয়াকে জি-২০ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
এদিকে শস্য রপ্তানি চুক্তি রাশিয়া স্থগিত করার পর কৃষ্ণসাগরের নিরাপত্তা করিডোর দিয়ে জাহাজ চলাচল ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছে মস্কো।
জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই মস্কো ও কিইভের মধ্যে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির ফলে ইউক্রেন তাদের শস্য রপ্তানি ফের শুরু করতে পেরেছিল।
কিন্তু মস্কো তাদের কৃষ্ণ সাগরীয় নৌবহরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার অভিযোগ তুলে শনিবার এ চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
এর পর সোমবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেনীয় নেতৃবৃন্দ ও ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ড ওই নিরাপত্তা করিডোর ব্যবহার করে রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর পর ওই পথ দিয়ে জাহাজ চলাচল অগ্রহণযোগ্য।
রাশিয়া এ চুক্তি থেকে ‘নিজেদের সরিয়ে নিয়ে ক্ষুধা দিয়ে বিশ্বকে ব্ল্যাকমেইলিং করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রাশিয়া পরিষ্কার করে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সঙ্গে হওয়া ওই শস্য চুক্তি থেকে রাশিয়া সরে যায়নি শুধু সেটি স্থগিত করেছে।
কিন্তু ওই রুটে জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকলে রাশিয়া কী করবে, সে বিষয়ে কিছু বলেনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।