বাংলাদেশি ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট জঘন্য। ছবি : এএফপি
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশের অনেক দুশ্চিন্তার একটি হলো স্ট্রাইক রেট। এই ফরম্যাটে স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই; কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাটারের ঠিক এই জায়গাতেই দুর্বলতা। যে কারণে বিশ্বকাপের তিন ম্যাচের দুটিতে জিতলেও মন কেড়ে নেওয়া ক্রিকেট উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশ। এমতাবস্থায় চলতি বিশ্বকাপে স্ট্রাইক রেট নিয়ে আর ভাবতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আগামীকাল বুধবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্ট্রাইক রেট নিয়ে সাকিব বলেন, ‘এই বিশ্বকাপে চিন্তার বিষয় না (স্ট্রাইক রেট)। এই বিশ্বকাপে আমাদের চিন্তা হলো দল হিসেবে কিভাবে ভালো খেলতে পারি। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে নিয়ে কখনো চিন্তা করিনি, করবও না। দল হিসেবে আমরা কতটা ভালো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করতে পারি সেটাই আমরা আসলে সব সময় করার চেষ্টা করব। ’
টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার স্ট্রাইক রেট ১২৫। তার চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট আছে সৌম্য সরকার (১৩১.৮১) ও আফিফ হোসেনের (১৩৩.৩৩)। ছন্দে থাকা লিটন দাস এখনো বড় কিছু করতে পারেননি। তার স্ট্রাইক রেট ১০৫.৫৫। তিন ম্যাচেই চারে নেমে সাকিব ৯৩.৯৩ স্ট্রাইক রেটে করতে পেরেছেন মোটে ৩১ রান। জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশ যথাক্রমে ১৫০ ও ১৪৪ রান করেছিল। আর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে রান তাড়ায় থেমেছিল মাত্র ১০১ রানে!