‘ফেইক ফিল্ডিং’ মানতে রাজি নন শেবাগ

বাংলাদেশ-ভারতের ক্রিকেট লড়াই মানেই কোনো না কোনো বিতর্কের জন্ম হবেই। গতকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হলো―বিরাট কোহলির ফেইক ফিল্ডিং। যেটা নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক।

কারণ ফেইক ফিল্ডিং করলে ওই দল ৫ রান পেনাল্টি পায়। গতকাল ৫ রানেই হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটাকে ফেইক ফিল্ডিং মানতে রাজি নন ভারতের সাবেক বিধ্বংসী ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ।

সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সপ্তম ওভারের খেলা চলার সময় অক্ষর প্যাটেলের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের সীমানার দিকে খেলেছিলেন লিটন। সেখানে ফিল্ডার ছিলেন আর্শদীপ সিং। আর্শদীপের থ্রো উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিকের কাছে পৌঁছানোর আগেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা বিরাট কোহলি থ্রোয়ের মতো অঙ্গভঙ্গি করেন। ক্রিজে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ার মারাইস এরাসমাসের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু আম্পায়ার জানান, তিনি দেখেননি!

‘ক্রিকবাজ’-এর সঙ্গে এক ভিডিও আলাপচারিতায় বীরেন্দ্র শেবাগের কাছে জানতে চাওয়া হয় কোহলির ফেইক ফিল্ডিং প্রসঙ্গে। জবাবে শেবাগ বলেন, ‘সেটা ওই সময়ই তারা কেন আম্পায়ারকে জানায়নি?’ উপস্থাপক তখন জানান, শান্ত আর লিটন দাস ওই সময় উইকেটে ছিলেন। শেবাগ এরপর বলেন, ‘ক্রিজে যে-ই থাকুক না কেন, আম্পায়ারকে কেন বলেনি?’ উপস্থাপক তখন বলেন, ‘আম্পায়াররা বিষয়টি দেখেননি। ’

তখন শেবাগ বলেন, ‘কোনটা সঠিক ছিল আর কোনটা ভুল ছিল সেই রায় আমি-আপনি দিতে পারি না। দিনশেষে এটা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা উচিত নয়। মেনে নিচ্ছি, বিরাট কোহলি যা করেছে, তা ভুল ছিল। কিন্তু সেটা আম্পায়ারের কাছে মনে হয়নি বা তারা দেখেনি। এমনটা (ফেইক ফিল্ডিং) তখনই হয় যখন বল আপনার কাছে গেছে, আপনি বল ধরতে গিয়ে পিছলে গেলেন এবং থ্রো করার ভঙ্গি করলেন―সেটা ফেইক ফিল্ডিং। কিন্তু ডিপ স্কয়ার লেগ (আসলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট) থেকে একজন (আর্শদীপ) বল থ্রো করেছে, আর মাঝপথে দাঁড়ানো কোহলি থ্রোয়ের ভঙ্গি করেছে, যার কাছে বলই ছিল না!’

আলাচারিতার একপর্যায়ে শেবাগ আরো বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই অবস্থা তৈরি হয়েছে যেন মার্ডার হয়ে গেছে!’

LEAVE A REPLY