ছবি : এএফপি
ভালো শুরুর পর ছন্দপতন। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত আর সৌম্য সরকারের ৫২ রানের জুটিতে মনে হচ্ছিল চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু তারপর মাত্র ১২৭ রান! একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান শান্তও ৫৪ রান করে আউট হয়ে গেলেন। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।
ম্যাচ শেষে আফিফ হোসেন বললেন, শান্ত ক্রিজে থাকলে এই পরিণতি হতো না।
তরুণ এই ব্যাটিং অল-রাউন্ডার বলেন, ‘উইকেট পড়ছিল তখন টার্গেট ছিল একজন সেট ব্যাটার যদি ক্রিজে থাকে। শান্ত ভাই থাকলে ভালো হতো। তারপরও আমাদের চেষ্টা ছিল যে কটা ওভার ছিল সেটার ইউটিলাইজ করা যাতে রানটা ১৫০ এর কাছাকাছি নিতে পারি তাহলে হয়ত ভালো হতো। অবশ্যই ভালো করার সুযোগ ছিল। আমরা যদি আরও কিছু ম্যাচ জিততে পারতাম, সেমিফাইনাল খেলতে পারতাম অবশ্যই ভালো লাগত। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে সামনে যেন দল হিসেবে আরও ভালো করতে পারি। ‘
কিন্তু কেন এমন ব্যাটিং বিপর্যয়? অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে এলবিডাব্লিউয়ের ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার। সেটাই কি কোনোভাবে প্রভাব ফেলেছে বাকিদের মনে? আফিফ বলেন, ‘ওইটা যখন ডিসিশন দেয় তখন আমাদের মনেও কিছু ডাউট ছিল। কিন্তু তখন আমি ব্যাটিংয়ে চলে যাই, তারপর ড্রেসিংরুমে কী হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। উইনিং মোমেন্ট যখন থাকে তখন ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভালো থাকে। আমাদের চেষ্টা ছিল যে জয়-পরাজয়ে আমাদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ যেন একই রকম থাকে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ সব সময় অনেক পজিটিভ ছিল। আশা করি সামনেও এমন থাকবে। ‘
পরিসংখ্যান বলছে, এটাই বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সুপার টুয়েলভে এই প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। এমন আসর শেষে নিজেদের দল হিসেবে কোথায় দেখছেন আফিফ? জবাবে তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে আমাদের টার্গেট ছিল আমরা আগের চেয়ে যেন ভালো করতে পারি। ভালো ইন্টেট নিয়ে প্লাস ভালো পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে পারি। আমার মনে হয়, এদিক থেকে আমরা সামনের দিকে আগাচ্ছে। সামনে আরও ভালো কিছু সবার জন্য উপহার দিতে পারব, ইনশাআল্লাহ। ‘