যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার মধ্যবর্তী নির্বাচন হচ্ছে। লাখ লাখ মার্কিন নাগরিক ভোট দেবেন তাদের পছন্দের প্রার্থীদের। এবারের নির্বাচন হোয়াইট হাউসে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার দলের ভাগ্য নির্ধারণের পাশাপাশি মার্কিনিদের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিবিসি জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে ভোটারদের চাঙ্গা করতে চূড়ান্ত প্রচারাভিযানও চালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাইডেন ও ট্রাম্পের ব্যালট নেই। এটি শুধু কংগ্রেসের নির্বাচন। যেটির দুটি অংশের মধ্যে একটি হলো হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ এবং অপরটি সিনেট।
দুই বছর অন্তর হয় সংসদীয় এই ভোট। প্রেসিডেন্টের চার বছরের মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে হয় বলে এটিকে মধ্যবর্তী মেয়াদের নির্বাচন বলা হয়।
এই নির্বাচনের ফলে কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হবে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে আইনসভা ও গভর্নরের কার্যালয় কে নিয়ন্ত্রণ করবে। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে দুজন সিনেটর থাকেন, যারা ছয় বছর মেয়াদের জন্য হন। রিপ্রেজেনটেটিভরা দুই বছরের জন্য কাজ করেন এবং ছোট জেলাগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেন।
বাইডেন-ট্রাম্পের ভিন্ন পরীক্ষা
দুই বছর ধরে ডেমোক্র্যাটরা রিপ্রেজেনটেটিভ হাউস ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখে কাজ করছে। যেটি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য যেকোনো আইন পাসে সহায়ক হয়েছে।
তবে ডেমোক্র্যাটরা এবার সামান্য ব্যবধান ধরে রাখতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুই পক্ষের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পোলিং এজেন্টগুলো বলছে, রিপাবলিকানরা হাউস দখল করতে পারে তবে ডেমোক্র্যাটরা সিনেটের আসন ধরে রাখতে পারে।
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে আসন ৪৩৫টি। ধারণা করা হচ্ছে, পেনসিলভানিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, ওহিও এবং উত্তর ক্যারোলাইনার মতো রাজ্যগুলোর নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে সিনেটের ৩৫টি আসনের মধ্যে নেভাদা, আরিজোনা, জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র : বিবিসি