ভারতের হিমাচল প্রদেশে স্থানীয় সময় আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বুধমুখী হয়েছেন ভোটাররা। ওই রাজ্যে মোট ৬৮টি বিধানসভা আসনে এক দফায় ভোট হচ্ছে। প্রায় ৫৫ লাখ ভোটারের রায়ে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৪১২ জন প্রার্থীর। ভোটগণনা হবে ৮ ডিসেম্বর।
৩৭ বছরে কোনো দল পর পর দু’বার জিতে ক্ষমতায় আসতে পারেনি হিমাচল প্রদেশে। আজকের ভোটে সেই রেকর্ড ভাঙতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদির দল স্লোগান তুলেছে ‘রাজ নেহি রেওয়াজ বদলো’ (ক্ষমতার বদল নয়, প্রথা বদল করো)।
মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, আপেলের ন্যায্য দাম না পাওয়া, সারের অপ্রতুলতার মতো সমস্যার পাশাপাশি বিজেপিকে চিন্তায় রেখেছেন দলটির বিদ্রোহী নেতারা। রাজ্যের ৬৮টির মধ্যে অন্তত ২০টি আসনে বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে বিজেপি প্রার্থীদের।
কংগ্রেস নেতাদের দাবি, পালাবদলের ‘ইতিহাসে’ ভর করেই এবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্যে তারা ক্ষমতা দখল করবেন। যদিও চলতি বছরেই প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরাখণ্ডে দুই দশকের ক্ষমতা বদলের প্রবণতাকে অতিক্রম করে ভোটে জিতেছে বিজেপি।
হিমাচলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর তার পুরনো কেন্দ্র সেরাজ থেকে লড়ছেন। প্রয়াত সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুখরামের ছেলে অনিল শর্মাকেও তার পুরনো কেন্দ্র মন্ডীতে প্রার্থী করেছে পদ্ম-শিবির।
রাজ্য বিজেপির সাবেক সভাপতি সতপাল সিং সাত্তিকে প্রার্থী করা হয়েছে উনা আসনে। অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রীকে হারোলি আসনে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। তিন সাবেক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুখবিন্দর সিং সুখু (নদুয়ান), কুলদীপ সিং রাঠৌর (থিয়োগ) এবং কল সিং ঠাকুরের (দারং) নাম রয়েছে ভোটপ্রার্থীদের তালিকায়।
প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভার ছেলে বিক্রমাদিত্য লড়ছেন শিমলা (গ্রামীণ) কেন্দ্রে।
২০১৭ সালে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়ে শিমলার চেয়ার দখল করেছিল নাড্ডার দল। বিজেপি ৪৪ এবং কংগ্রেস ২১টি আসনে জিতেছিল। সিপিএম ১ এবং নির্দল প্রার্থীরা ২টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন সে সময়।
সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া