মার্কিন দূতাবাসে ই-মেইলের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা : ড. সেলিম

ড. সেলিম মাহমুদ

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন দূতাবাসে ই-মেইল পাঠানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি। বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা তার ফেসবুক থেকে মূলত এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ‌‌ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারাই সারা বছর দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে ই-মেইল পাঠায়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সকল আজগুবি খবর প্রচার করে তারা নিজেদের দৈন্যতাই প্রকাশ করে।

’ 

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের বরাত দিয়ে ওই মিথ্যা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমি নাকি যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ই-মেইল পাঠিয়েছিলাম। আমার ই-মেইলের কারণে নাকি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বিব্রত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই মূলত এই অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা। ’ 

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, ‘ই-মেইল পাঠানোর বিষয়টি যে মিথ্যা এটি প্রমাণ করার জন্য আমি ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল কাউন্সিলর স্কট ব্র্যান্ডনের কাছে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আমি কিংবা আমার পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল কি না প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি উত্তরে আমাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো ই-মেইল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আসেনি। অর্থাৎ ই-মেইল পাঠানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বিব্রত হওয়ার ঘটনাটিও মিথ্যা ও কাল্পনিক। ’

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি আমাদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, এ বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তিনি ই-মেইলের কোনো কথা শোনেননি। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে আমাকে জানিয়েছে যে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাহলে এ ধরনের সংবাদ প্রচারের উদ্দেশ্য কী সেটি বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এটি পরিষ্কার, এই সংবাদ প্রচারের একটি অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে। ’

ড. সেলিম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত রিপোর্টে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং আপত্তিকর কথা বলা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে দলের চেইন অব কমান্ড নষ্ট হয়ে গেছে। দলের নেতারা ফ্রিস্টাইলে কাজ করছেন, এমন অভিযোগ শোনা যেত। এই ঘটনাটি তার একটি প্রমাণ। ’ এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের পক্ষে যে সকল নেতা বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সকলেই দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই দায়িত্ব পালন করছেন। দলের সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। ’

LEAVE A REPLY