দেশের মানবাধিকার ও নির্বাচন পরিস্থিতি কানাডাকে জানাল বিএনপি

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাসের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কানাডা মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, জীবনের নিরাপত্তা, আইনের শাসনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। কানাডাসহ কয়েকটা দেশ এগুলোতে দৃঢ় অবস্থান নেয় সব সময়।

বাংলাদেশ সরকারকে বাইলেটারেলি বলে আসছে এখানে বাংলাদেশে মানবাধিকার ইস্যু লঙ্ঘন হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট স্বাভাবিকভাবে আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা ইত্যাদি সব বিষয়ে আলাপ হয়েছে সার্বিকভাবে। আমরা ভালো আলোচনা করেছি। ’

তিনি আরো বলেন, কানাডার পক্ষ থেকে কনসার্ন তো আছেই। বাংলাদেশের জনগণের যে রকম কনসার্ন আছে, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো, মাল্টিলেটারেল বডি এবং মানবাধিকার সংস্থা সবার যেমন কনসার্ন আছে, তাদেরও তো কনসার্ন থাকা স্বাভাবিক। বিশেষ করে মানবাধিকারের ওপর তাদের গুরুত্ব অনেক বেশি, গণতন্ত্রের ওপর তাদের গুরুত্ব অনেক বেশি।

নির্বাচন ইস্যুতে আপনারা কী বলেছেন জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা তো ভেতরে কী আলোচনা হয়েছে সেটা এখানে বলতে পারব না। এটা আপনারা বুঝতেই পারছেন। ’

কানাডার সাথে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে খসরু বলেন, ‘আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যেকার সম্পর্কটা অনেক ডাইভারসিফাই একটা সম্পর্ক। প্রথমত বাংলাদেশে আমাদের দুই বিলিয়নের ওপরে রপ্তানি হয়। সেটা ২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে শুল্কমুক্ত সুবিধা যেটা কানাডা পেয়েছিল সেটা বিএনপির সময়ে নেগোশিয়েট হয়েছিল। যারা কারণে আজকে এত বড় একটা আমাদের রপ্তানির ডেসটেনি হয়েছে কানাডা। আমি তখন বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম, আমি কানাডার সঙ্গে এই নেগোশিয়েট করেছিলাম। বড় একটা আমাদের রপ্তানির জায়গা কানাডা। আমদানির জন্য বাংলাদেশের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কানাডা। আমাদের মূল কিছু জিনিস যেমন গম, ডাল, ডাল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য যার একটা বড় অংশ কানাডা থেকে আমাদের দেশে আসে। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা আজকাল খুব আগ্রহী হয়ে উঠেছে কানাডায় লেখাপড়া করতে। প্রতিনিয়ত আমাদের ছেলে-মেয়েরা কানাডা যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের একটা বড় বংশোদ্ভূত শ্রেণি বাস করছে যারা কানাডার অর্থনীতিতে ও সমাজে কন্ট্রিবিউট করছে। ’

বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY