আফগানিস্তানে শরীয়াহ আইনে শাস্তির নির্দেশ তালেবানের

তালেবানের তৃতীয় সর্বোচ্চ কমান্ডার এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। (ছবি : আফগান ইসলামিক প্রেস)

তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা আফগান বিচারকদের ডাকাতি, অপহরণ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধের জন্য  ইসলামী শরীয়াহ আইন অনুসারে শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন, যার মধ্যে জনসম্মুখে অঙ্গচ্ছেদ এবং পাথর নিক্ষেপ থাকতে পারে।

আখুন্দজাদার মুখপাত্র বলেছেন, ডাকাতি, অপহরণ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধের শাস্তি অবশ্যই ইসলামী শরীয়াহ আইনের ব্যাখ্যা অনুসারে হওয়া উচিত।

১৯৯০-এর দশকে ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডসহ এই ধরনের শাস্তির জন্য  তালেবানের নিন্দা করা হয়েছিল। গত বছর ক্ষমতায় আসার পর তারা আরো পরিমিতভাবে শাসন করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

কিন্তু তারপর থেকে তারা ক্রমাগত স্বাধীনতার ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে। বিশেষ করে নারীদের অধিকার কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে।

তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, বিচারকদের অবশ্যই শরীয়াহ আইন অনুযায়ী অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে, যদি সংঘটিত অপরাধে সেই আইনের লঙ্ঘন হয়।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ রবিবার গভীর রাতে টুইট করে জানিয়েছেন, মোল্লা আখুন্দজাদা বিচারকদের একটি দলের সঙ্গে দেখা করার পর ‘বাধ্যতামূলক’ এই আদেশটি এসেছে। তিনি আখুন্দজাদাকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, ‘চোর, অপহরণকারী এবং রাষ্ট্রদ্রোহীদের অভিযোগ সাবধানে পরীক্ষা করুন। ‘

তালেবান সঠিক অপরাধ এবং শাস্তি সংজ্ঞায়িত করেনি। তবে আফগানিস্তানের একজন ধর্মীয় নেতা বিবিসিকে বলেছেন, শরীয়াহ আইনের অধীনে শাস্তির মধ্যে অঙ্গচ্ছেদ, প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত এবং পাথর নিক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

এই আদেশটি প্রমাণ করে যে তালেবান অধিকার এবং স্বাধীনতার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। গত সপ্তাহে তারা কাবুলের সব পার্কে নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে এই নিষেধাজ্ঞাটি নারীদের ব্যায়ামাগারে যাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রসারিত করা হয়।

২০২১ সালে ২০ বছরের যুদ্ধের পর বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করার পর থেকে আফগানিস্তান জুড়ে সহিংসতার মাত্রা কমে গেছে। কিন্তু  তালেবানের বিরুদ্ধে নারী ও সাংবাদিকসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সূত্র : বিবিসি

LEAVE A REPLY