সাহসী দৃশ্যে অভিনয়ে সাহস জুগিয়েছেন স্বামী : কীর্তি কুলহারি

কীর্তি কুলহারি

অভিনেত্রী কীর্তি কুলহারি বলিউডের পরিচিত একটি মুখ। বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পিংক’ সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পান এই অভিনেত্রী। এ বছর বলিউডে এক যুগ পার করলেন কীর্তি।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রীর ওয়েব সিরিজ ‘ফোর মোর শট প্লিজ’-এর তৃতীয় সিজন। সিরিজটিতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য অভিনেত্রী বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। তবে নিজের অভিনয়ের পেছনে প্রাক্তন স্বামীর অবদানকে স্বীকার করে অভিনেত্রী বলেছেন, তাঁর প্রাক্তন স্বামী সাহিল সেহগাল তাঁকে আত্মবিশ্বাস এবং সমর্থন দিয়েছেন যৌন দৃশ্যে অভিনয় করার জন্য। স্বামীর সমর্থন তাঁকে সাহসী দৃশ্যে নিজেকে মেলে ধরতে সাহায্য করেছিল।

kalerkantho

রঙ্গিতা প্রীতিশ নন্দী ও ঈশিতা প্রীতিশ নন্দীর নির্মিত সিরিজটিতে কীর্তির সাথে আরো অভিনয় করেছেন সায়ানি গুপ্তা, বানি জে ও মানবী গাগরু। কীর্তি একজন আইনজীবী এবং সিঙ্গেল মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সিরিজটিতে অভিনেত্রীর বেশ কয়েকটি চুম্বন এবং অন্তরঙ্গ দৃশ্য রয়েছে।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কীর্তি বলেন, ‘আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে আমার প্রাক্তন স্বামী সাহিল সত্যিই আমাকে যথেষ্ট সমর্থন করেছিলেন। তিনি আমাকে নিয়ে ‘অনিরাপদ’ অনুভব করার মতো লোক ছিলেন না। আমি পর্দায় চুম্বন করতে পারব না বা অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে পারব না, এ ধরনের বাধা তিনি আমাকে দেননি। যদিও আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এই বাধা প্রবল। আমি এটাকে একধরনের গোঁড়ামি মনে করি। কিন্তু সাহিল সত্যিই আমাকে আত্মবিশ্বাস এবং সমর্থন দিয়েছেন। চরিত্রের জন্য যা যা দরকার তা-ই করতে সাহস জুগিয়েছেন তিনি। তাই আমি এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। ’

kalerkantho

প্রাক্তন স্বামী সাহিলের সঙ্গে কীর্তি

সিরিজটির প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘সিরিজে অভিনয় করা চারজন অভিনেত্রীরই যৌন দৃশ্যগুলো করার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। কেউ কেউ অন্যদের চেয়ে বেশি আতঙ্কিত ছিল। কারো কারো কাছে এটি কোনো ব্যাপার ছিল না। তবে আমি এটির সাথে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলাম। একজন অভিনেত্রী এবং একজন ব্যক্তি হিসেবে এটি আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ও নিজেকে প্রমাণ করার চমৎকার একটি সুযোগ ছিল। ’

কীর্তি ২০১৬ সালে বিয়ে করেন সাহিল সেহগালকে। তবে গত বছরের শুরুতে বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করেন অভিনেত্রী। বিচ্ছেদ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ না করলেও হিন্দুস্তান টাইমসের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, একটি নতুন সম্পর্কে প্রবেশের চেয়ে ‘বিবাহের সমাপ্তি’ বিষয়টা আরো কঠিন। কারণ এতে দুজনের পরিবারগুলোও জড়িত। তবু নিজেদের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

LEAVE A REPLY