চনপাড়ার অপরাধ সাম্রাজ্যের হাতবদল খুনে খুনে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকা। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের স্বর্গরাজ্য। দৃশ্যমান কোনো ব্যবসা বা আয়ের উৎস না থাকলেও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই এলাকার অনেকে। কিনেছেন বাড়ি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট। অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় মাদক কারবারই পেশা হিসাবে নিয়েছেন অনেকে।

চনপাড়ার মোড়ে মোড়ে পসরা সাজিয়ে বিক্রি করতেন নেশাজাতীয় দ্রব্য। যার একটা অংশ চলে যেত স্থানীয় ইনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া বজলুর রহমানের হাতে। আর দ্বিতীয় ধাপে দুটি গ্রুপ কাজ করে বজলুর হয়ে। তারা আবার অপরাধ সাম্রাজ্যের পালাবদলে নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।

কেউ খুন না হওয়া পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এসব ঘটনায় ২০০৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন খুন হয়েছেন। অপরাধীদের প্রায় সবাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। অথচ রহস্যজনক কারণে তাদের অধিকাংশই থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনেকে গ্রেফতার হলেও কিছু দিন পর জামিনে বের হয়ে ফের জড়াচ্ছেন পুরোনো অপরাধে।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, রূপগঞ্জ থানায় প্রতি মাসে সাধারণত ৭০-৯০টি মামলা হয়। যার মধ্যে মাদক মামলাই ১৫-২০টি। আর এসব মামলার বেশির ভাগই র‌্যাবের মাদক উদ্ধার অভিযানের। অথচ চনপাড়াতেই রয়েছে একটি পুলিশ ফাঁড়ি। ৮ কিলোমিটার দূরত্বেই রূপগঞ্জ থানা। থানা পুলিশের অভিযানে মাদক উদ্ধারের ঘটনা খুবই সামান্য।

সূত্র আরও জানায়, চনপাড়া এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধীর বিরুদ্ধে এখন ২৫০-৩০০টির মতো ওয়ারেন্ট আছে। এর মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ৮-১০টি ওয়ারেন্টও রয়েছে। 

রূপগঞ্জ থানার মোট ওয়ারেন্টের ৪০ শতাংশই চনপাড়ার। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ এদের ধরে না। অনেক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলে অপরাধীরা। ফলে অভিযানের তথ্যও আগেভাগেই পেয়ে যায় তারা। এতে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না অপরাধী চক্রকে। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অসংখ্যবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের ধরা হচ্ছে না এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি পুলিশের সামনে ঘুরে বেড়াবে, ধরা যাবে না বা ধরা হবে না এরকম কোনো কিছু হওয়ার কথা নয়। আমার নলেজে এমন কিছু নেই।

ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতারে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই। পুলিশ সদস্যদের টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে আমাদের একটা ক্যাম্প আছে। কিন্তু কোনো ক্যাম্পের ইনচার্জ দুই মাসের বেশি থাকে না। তাদের তো এমন করারই সুযোগ নেই। এটা হলো যেকোনো জায়গায় কথা হলেই ঢালাও অভিযোগ দেওয়া হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য ও চনপাড়া শেখ রাসেলনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (দলীয় ইউনিয়ন ইউনিট) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান চনপাড়ার অপরাধ জগতের গডফাদার। এলাকায় সব অপরাধই তার ইশারায় হয়। মেম্বারের পরে আবার রয়েছে দুটি গ্রুপ।

একটির নিয়ন্ত্রণে জয়নাল এবং অপরটির নিয়ন্ত্রণে ছিলেন রাজা (গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন) ও র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত সিটি শাহীন। এদের পরবর্তী ধাপে কাজ করেন ফেন্সি ফারুক, শাহ আলম, চোর ফারুক, দাঁতভাঙা রাব্বী, শাহাবুদ্দিন, রায়হান, শাওন, রবিন। এদের অধিকাংশের বহুতল ভবন রয়েছে চনপাড়ায়। রয়েছেন নারী ব্যবসায়ীও। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রশনি, জ্যোতি, ময়না (মনু) ও সুরমা। রশনিকে গ্রেফতার করতে গেলে বিভিন্ন সময়ে নারীদের দিয়ে পুলিশকে ঘেরাও করেন। এদের বাইরে খুচরা পর্যায়ে দেড় শতাধিক ব্যক্তি মাদক কারবারে জড়িত।

স্থানীয়রা জানান, চলতি বছরের ১৮ জুন আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে খুন হন সজল মিয়া। এরপর এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন রাজা-শাহীন গ্রুপ। সজল হত্যাকাণ্ডের আগে এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছিল জয়নালের হাতে। জয়নাল আবার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন ২০২১ সালের ৮ জুলাই সামসু বাবুর্চি খুনের মধ্য দিয়ে। তখন দুই গ্রুপ আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে শোডাউন দেয়। একপর্যায়ে শামসু খুনের মধ্য দিয়ে টানা সাত দিনের সংঘর্ষ শেষ হয় চনপাড়ায়।

চনপাড়ায় ২৫ বছর ধরে আছেন এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘কিছু দিন পরপরই একটা খুন হয়। সামসু হত্যার সময় টানা সাত দিন সংঘর্ষ হয়েছে। কেউ ভয়েও ঘর থেকে বের হয়নি। অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপ টানা শোডাউন দিয়েছে। এরপর যখন লাশ পড়ল, তখন সব ঠান্ডা। এক গ্রুপ এরেস্ট হয়েছে, অন্য গ্রুপ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।’

চনপাড়া এলাকার অপরাধ জগৎ নিয়ে সেখানকার ১১ জন অধিবাসীর সঙ্গে কথা হয় যুগান্তরের। তারা জানান, কেবল মাদকই নয়, চনপাড়া এলাকায় চলে প্রায় সব ধরনের অপরাধ। অপরাধীদের অনেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাড়া খাটেন। ঢাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি করে অর্থ হাতিয়ে নেন।

এরপর ফিরে যান চনপাড়ায়। স্থানীয় অন্তত তিন ব্যক্তি জানান, এভাবে যেসব স্বর্ণ পাওয়া যায় সেগুলো বজলু মেম্বার নিয়ে যেতেন সামান্য টাকায়। মাদকের পাশাপাশি এই স্বর্ণও ছিল তার আয়ের অন্যতম উৎস।

নিয়ন্ত্রণে নতুন করে শোডাউন : শুক্রবার বিকালে বজলুর গ্রেফতার ও শাহীনের মৃত্যু ও রাজা জেলে থাকার সুযোগ নিয়ে জয়নালের অনুসারীরা এলাকা দখলের মিশনে নেমেছে। শনিবার চনপাড়ায় গিয়ে বজলুর নাম ও ছবির অনেক ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলতে দেখা গেছে। শনি ও রোববার জয়নালের লোক হিসাবে পরিচিত আলমগীর, সুফিয়ান, রাব্বী, সিফাত ও রিফাত চনপাড়ায় আসতে শুরু করেছেন। তারা এর আগে এলাকাছাড়া ছিলেন। সর্বশেষ শনিবার বিকালে আলমগীর চনপাড়ায় এসে কিছুক্ষণ থেকে শীতলক্ষ্যা পার হয়ে তারাবোর নোয়াপাড়ায় চলে যান। সজলের অনুসারীদের চনপাড়া দখলের চেষ্টায় নতুন করে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

মাদক আসে-যায় যেভাবে : রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড চনপাড়ার পূর্বে শীতলক্ষ্যা নদী। স্থানীয়রা জানান, এই নদীই মাদকের প্রধান রুট। মাছ বাজার ঘাট এবং অফিস ঘাট থেকে নদীর ওপারে বাসিন্দাদের যাতায়াত বেশি। কিন্তু এই ঘাট ব্যবহার না করে অন্যান্য স্থান দিয়ে গভীর রাতে মাদক ঢোকে চনপাড়ায়। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট এলাকা দিয়ে আসে মাদক। সেখান থেকে দূরপাল্লার বাসে মাদক এনে নামানো হয় গাউছিয়া এলাকায়। এরপর ব্যাটারি অথবা সিএনজিচালিত অটোরিকশার মাধ্যমে সেগুলো যায় নোয়াপাড়া ঘাটে। শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে গভীর রাতে ঢোকে চনপাড়ায়। পশ্চিমে ডেমরা এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। ফলে নদীপথই হয়ে উঠেছে মূল পথ। আর মাদক পরিবহণে ব্যবহার হয় নারী ও শিশুরা। এখান থেকে মাদক সরবরাহের রুট হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠছে চনপাড়া থেকে কাঞ্চনব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা। এই সড়কে পুলিশের কোনো চেকপোস্ট না থাকায় অবাধে চলছে মাদক পরিবহণ। অথচ এই সড়কটি রূপগঞ্জ থানার সামনে দিয়ে গেছে।

মাদকের ধরন : স্থানীয়রা জানান, এই এলাকার মূল মাদক হলো ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা এবং হেরোইন। ফেনসিডিল ৪০০-৫০০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। গাঁজার পোঁটলা বিক্রি হয় ৫০ টাকা করে। ৫০০ টাকা হলেই মেলে এক টান হেরোইন সেবনের সুযোগ। ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হয় ইয়াবা। এই এলাকায় মাদকের সহজলভ্যতায় রিকশাওয়ালা থেকে এলাকার শ্রমজীবী মানুষের বড় একটি অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ঢাকা থেকে অনেকে গিয়ে মাদক সেবন করে আসেন। এমন শতাধিক স্পট রয়েছে এই এলাকায়। এর মধ্যে ‘ইট-বালুর ঢালাই’ নামের বিশেষ এক ধরনের মাদক সেবনের ব্যবস্থা চালু হয়েছে সেখানে। হেরোইন আর ইয়াবা মিলিয়ে বিশেষ এক সেবন পদ্ধতি এটি। ৪০০-৫০০ টাকাতেই এই বিশেষ প্রক্রিয়ায় সেবন করা যায় মাদক।

অভিযানে অনীহা : স্থানীয়দের অভিযোগ-মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা রয়েছে। এজন্য মাদকের স্বর্গরাজ্যেও ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের সংখ্যা খুবই কম। যদিও বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যার পর চনপাড়া নতুন করে আলোচনায় আসায় ১৫-২০ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার হন। স্থানীয়রা জানান, পাশেই হওয়ায় থানার পুলিশ এখানে সেভাবে আসে না। আর ফাঁড়িও চলছে মাত্র তিন-চারজন জনবল নিয়ে। চনপাড়ার অপরাধের টাকার বড় অঙ্ক চলে যায় থানায়। একজন এএসআইয়ের মাধ্যমে থানার এক বড় কর্মকর্তা এই চক্রটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। এভাবে তারাও বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন।

জানতে চাইলে চনপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মেহেদী হাসান খান যুগান্তরকে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়মিতই হয়। এজন্য অনেকে এলাকাও ছেড়ে দিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে তাদের কোনো যোগসাজশ নেই।

আসামি ধরতে গেলেই হামলা : চনপাড়া এলাকায় অপরাধ পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে এখন তা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা অসংখ্যবার এই এলাকায় গিয়ে হামলা ও তোপের মুখে পড়েছেন। কয়েক দিন আগে নুরুদ্দিন নামের এক মাদক কারবারিকে ধরতে গেলে ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

রূপগঞ্জ থানা পুলিশের একাধিক সদস্য যুগান্তরকে জানান, আসামি ধরতে গেলে চনপাড়ার মহিলারা দা, বঁটি, খোন্তা নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে যায়। অনেকে সবার সামনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে বসে। অনেক সময় ওপর থেকে চাপ আসে। এজন্য থানা থেকেও মাদক ধরতে উৎসাহিত করা হয় না। ফলে মাদক কারবারিদের ধরতে তাদের মধ্যেও এক ধরনের অনীহা আছে। অনেক পুলিশ কর্মকর্তা মাদক কারবারিদের তদবিরে এই থানায় টিকতে পারেননি। রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে কারবারিরা তাদের ক্ষতি করেন।

বছর তিনেক আগে ওই এলাকায় কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র‌্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, মাদক কারবারিদের ধরতে গেলেই তারাও আক্রমণের শিকার হতেন। তখনকার শীর্ষ মাদক কারবারি কুট্টি বেগমকে গ্রেফতার করতে গেলে একবার তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর বাইরে অবস্থানরত র‌্যাব সদস্যদের তৎপরতায় তারা সেখান থেকে বের হয়ে আসেন। এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে চনপাড়ায়।

সাক্ষী সমস্যা : রূপগঞ্জ থানার একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, মাদকসহ ব্যবসায়ীদের ধরার পর একটি জব্দ তালিকা করতে হয়। সেখানে সাক্ষীর প্রয়োজন হয়। পুলিশ স্থানীয়দেরও প্রায়ই সাক্ষী করেন। অনেকে পুলিশের সামনে সাক্ষী হন ঠিকই, কিন্তু আদালতে গিয়ে উলটো সাক্ষী দেন। কখনো চক্রের সদস্যদের আর্থিক প্রলোভনে এবং কখনো বজলুদের ভয়ে এটা করেন। কারণ কারবারিদের বিপক্ষে সাক্ষী দিলে হুমকি দিয়ে আসত। এভাবে অনেককে চনপাড়া ছাড়তেও হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী সবাই : চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে বসবাসকারীরা একসময় ছিলেন আশ্রয়হীন। এখনো সেখানে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের বাস। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বাস করেন এখানে। গুটিকয়েক অপরাধীর কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চনপাড়া মোড়ে ১০ বছর ধরে চায়ের দোকান পরিচালনা করছেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, অপরাধী বেশি নয়। ২০০ লোককে ধরে ফেললেই চনপাড়ায় শান্তি নেমে আসবে। এখানকার গরিব মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, চনপাড়ার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে টহল ডিউটি রয়েছে। কাঞ্চন ব্রিজে যাওয়ার সড়কে চেকপোস্ট না থাকলেও টহল ডিউটি রয়েছে।

LEAVE A REPLY