‘গান শোনাতে চাই, দেখাতে নয়’

হাসান তাইমুম ওয়াহাব সৈনিক

হাসান তাইমুম ওয়াহাব সৈনিক, সঙ্গীতাঙ্গনে যিনি টি ডব্লিউ সৈনিক নামেই পরিচিত। তার গাওয়া ‘তুমি আমার ঘুম’ গানটি শোনেননি এমন শ্রোতা কমই আছে। গত ২১ নভেম্বর জন্মদিন ও কাজ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন আর এস সৈকত।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ।

জন্মদিনে নতুন গান নিয়ে কিছু বলুন?

নদী নিয়ে ভাবনা বেশ আগে থেকেই ছিল। নদী আমাদের জীবনের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। তাই নদীর প্রতি একটা টান, ভালোবাসা আছে। বর্তমানে এ ভাবনাটা আরও বেশি কাজ করে। কারণ আমাদের নদীগুলো মরে যাচ্ছে, দূষিত হচ্ছে, দখল হয়ে যাচ্ছে। নদীর সৌন্দর্য আমরা আর দেখি না। এটাই আমার চোখ, আমার হৃদয় ; নদীর প্রতি সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গানটা লেখা প্রায় চার বছর আগে। গান এখন দেখার বিষয় হয়ে গেছে, সেদিক থেকে মিউজিক ভিডিও করতে পারিনি, পারবোও না। কারণ গান শোনাতে চাই, দেখাতে নয়। তবে সময়ের সাথে চলার তাগিদে কোনরকম ভিডিও করে ছেড়ে দিয়েছি।

সামনে আর কি কি গান আসছে?

আক্ষর মিউজিকের ব্যানারে নতুন গান ও মিউজিক ভিডিও আসছে। আরও দুটো গান তৈরি হচ্ছে।

সিনেমাটোগ্রাফিতে ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?

সম্প্রতি একটা আওয়াল রেজা ভাইয়ের শিশুতোষ সিনেমা ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’র কাজ করলাম। এ সিনেমার টাইটেল গানেও এলিটা আপু ও আরিফের সাথে কণ্ঠ দিয়েছি। ডিসেম্বরের শেষে আরেকটি সিনেমার কাজ শুরু হবে। দুটো শর্টফিল্মের কাজও করবো।

গান নিয়মিত করছেন না?

আমার আরও গান আছে কিন্তু ‘তুমি আমার ঘুম’র প্রসারে অনেকেই অন্য গান শোনেননি। তবে এখন গানে বেশ সময় দিচ্ছি।

‘স্যান্ডব্যাগ’ নিয়ে পরিকল্পনা কি?

একটা সময় দেশে ক্যামেরার কাজ শেখা ছিল এফডিসিকেন্দ্রিক, যার বেশকিছু সমস্যা ছিল। মূলত রাশেদ জামান ও আমরা বাকিরা সিদ্ধান্ত নিই ৩৫ মি.মি ক্যামেরা কেনার। রাশেদ তার মায়ের জমি, আমি ফ্ল্যাট বিক্রি করি, খসরু ভাইয়ের ব্যাংকের জমানো টাকা দেয়। সাথে ছিলেন পিপলু ভাই, কিসলু ভাই। টাকা যোগাড় করে আমরা লস এঞ্জেলস গিয়ে তিনটি ক্যামেরা কিনি। আমাদের উদ্দেশ্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রু তৈরি করা। সেই ক্রু যারা সিনেমার বিভিন্ন বিভাগেও কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এখন বেশ নাজুক করোনার কারণে। তাই যে স্বপ্ন নিয়ে পথচলা তা অনেকটাই বাধাগ্রস্ত। তবে স্যান্ডব্যাগ থেকে এখন ৩৯ জন ক্রু বের হয়েছে, তারাই লিড করছে।

‘তুমি আমার ঘুম’ গানটি নিয়ে কোন স্মৃতি?

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে এনামুল আজিম ভাইয়ের একটা নাটকের দৃশ্যেধারণের জন্য গিয়েছি। বিশৃঙ্খলার জন্য নির্মাতা আমাকে কোনোরকমে একটা দৃশ্য নিতে বললেন। আমার নাম সৈনিক শোনার পর শিক্ষার্থীরা উল্লাস করে উঠে গানটা গাইতে অনুরোধ করে। গাওয়ার পর তারাই আমাদের শুটিংয়ে সাহায্য করে। এরপর হল থেকে পুরো শুটিং টিমকে খাওয়ানো, আবার গান গাওয়া; এরকমই এক মজার অভিজ্ঞতা ছিল।শেয়ার করুন

LEAVE A REPLY