জয়াপ্রদার হাতে ‘চড়’ খাওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দালিপ তাহিল

দালিপ তাহিল ও জয়াপ্রদা

বলিউডের শক্তিমান অভিনেতা দালিপ তাহিল। আশি ও নব্বইয়ের দশকে বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমায় অভিনয় করে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন এই অভিনেতা। খল চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে তিনি ছিলেন নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ।  তবে বর্তমানে সিনেমার পর্দায় নিয়মিত না থাকলেও অতীতের কিছু গুজবের কারণে সবসময় আলোচনায় থাকেন এই অভিনেতা।

তাকে ঘিরে বেশ কিছু মজাদার আলোচনা বলিউডে ভেসে বেড়ায়, যার মধ্যে একটি হচ্ছে অভিনেত্রী জয়াপ্রদার হাতে চড় খাওয়া! এই গুজবটি বেশ কিছু বছর ধরেই ভেসে বেড়াচ্ছে যে অভিনেতা দালিপ ‘আখেরি রাস্তা’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় অভিনেত্রী জয়াপ্রদার হাতে চড় খেয়েছেন!

তবে সম্প্রতি অভিনেতা দালিপ তাহিল সেই চড়ের বিষয়ে মুখ খুলেছেন। আখেরি রাস্তার শুটিংয়ের সময় তাকে চড় মারার বিষয়ে দীর্ঘদিনের গুজবটি অস্বীকার করেছেন অভিনেতা। তিনি বলেছেন, এমন কিছুই ঘটেনি।

kalerkantho

বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ৭০ বছর বয়সী এই অভিনেতা বলেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন পড়েছেন যাতে দাবি করা হয়েছে যে ১৯৮৬ সালের সিনেমা ‘আখেরি রাস্তা’র একটি ধর্ষণ দৃশ্যের সময় তিনি অভিনেত্রী জয়াপ্রদার হাতে চড় খেয়েছেন। ধর্ষণের সেই দৃশ্যের শুট করার সময় দালিপকে তাৎক্ষণিকভাবে চড় মেরেছিলেন অভিনেত্রী। তবে অভিনেতা এই বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে তিনি জয়াপ্রদার সাথে কখনো স্ক্রিন শেয়ার করেননি। একই দৃশ্যে দুজনে কখনো পর্দায় আসেননি।  তাই এমন ঘটনা ঘটার প্রশ্নই আসেনা।  

‘বাজিগর’ অভিনেতা বলেছেন যে, লোকেরা এমন একটি গল্প তৈরি করছে যা কখনো ঘটেনি। যে ব্যক্তি এই গুজব ছড়িয়েছে তাকে সামনে এসে সেই নির্দিষ্ট দৃশ্যটি দেখানোর জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অভিনেতা।

kalerkantho

বাজিগর চলচ্চিত্রে দালিপ তাহিল ও শাহরুখ খান

কে ভাগ্যরাজ পরিচালিত আখেরি রাস্তায় আরো অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন এবং অনুপম খের। এছাড়াও হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে, কেয়ামাত সে কেয়ামাত তাক, কাহো না পেয়ার হ্যায়, ভাগ মিলখা ভাগ এবং সম্প্রতি মিশন মঙ্গলের মতো ১০০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন দালিপ তাহিল। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এ। মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া

LEAVE A REPLY