ঘানার অপেক্ষায় পর্তুগাল

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না পর্তুগালকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ এরিক টেন হাগের বিষোদগার করে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার নিয়ে হৈচৈ দলে কোনো প্রভাবই ফেলবে না বলে আশ্বস্ত করেছিলেন খোদ পর্তুগিজ মহাতারকাই। এবার যখন ঘানা ম্যাচ দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর অপেক্ষা, তখন সমঝোতার ভিত্তিতে রোনালদো—ম্যানইউয়ের সম্পর্কচ্ছেদের রেশ নিয়ে তুমুল আলোচনা। এর আঁচ লাগল ম্যানইউতে রোনালদোর সদ্য সাবেক সতীর্থ ব্রুনো ফের্নান্দেসের গায়েও।

আজকের ঘানা ম্যাচ সামনে রেখে কালকের সংবাদ সম্মেলনে এসেই তাঁকে পড়তে হলো বিব্রতকর প্রশ্নের মুখে। কিছুদিন আগেও যিনি ছিলেন ম্যানইউ সতীর্থ, ক্লাবের সঙ্গে অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার পর তাঁর সঙ্গে এবার জাতীয় দলে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন কি না? জবাবে এই মিডফিল্ডার সাফ বলে দিলেন, ‘স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করার কোনো কারণ দেখছি না। তা ছাড়া কোনো একটি পক্ষও তো বেছে নেওয়ার দরকার নেই আমার। ’

kalerkantho

সংবাদ সম্মেলনে তাঁর পাশেই বসা কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের কাছেও ছুটে গেল একই প্রসঙ্গ। তিনি একরকম উড়িয়েই দিলেন, ‘(রোনালদো-ম্যানইউ সম্পর্কচ্ছেদ) এটি আমাদের ফোকাস নড়িয়ে দেবে কি না, জানতে চাইছেন তো? একদমই না। এমনকি কোনো খেলোয়াড়কে এটি নিয়ে কথাও বলতে শুনিনি। সেটি অনুশীলনের সময়ই হোক কিংবা অবসর সময়ে। যখন ওরা টেবিল ফুটবল খেলে, তখনো নয়। রোনালদোকেও তো কখনো এটি নিয়ে কথা বলতে দেখলাম না। ’

kalerkantho

সান্তোসের দাবি, জয় দিয়ে অভিযান শুরু করার ভাবনাতেই বুঁদ হয়ে আছেন তাঁর শিষ্যরা, ‘সবাই ফোকাসড। ওদের মধ্যে দারুণ স্পিরিটও দেখছি। যেকোনো প্রতিযোগিতায়ই প্রথম ম্যাচ জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি দলের মধ্যে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার করে। ’ তবে অন্য রকম কিছু হলেও যে শেষ পর্যন্ত যাওয়ার আশা থাকবে, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি সান্তোস, ‘আমি এমন একটি টুর্নামেন্ট খেলেছি, যেটির প্রথম তিন ম্যাচই ড্র করেছিলাম। এবং এরপর আমরা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলাম। আমাদের যদি আবারও একইরকমভাবে জেতার সুযোগ দেওয়া হয়, আমি সেটি সাদরেই গ্রহণ করব। তবে এটাও বুঝি যে তাতে ঝুঁকিটা অনেক বেশি থেকে যায়। ’ ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ ঘানার প্রতিও ভীষণ সমীহ সান্তোসের। তাঁর মতে আফ্রিকান দলগুলো ক্রমেই ব্যবধান কমিয়ে আনছে, ‘কারণ এখন বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই একই লিগে খেলে। উদাহরণস্বরূপ ব্রুনোকেই যেমন এই ঘানা দলের দুই থেকে তিনজনের বিপক্ষে একই লিগে (ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ) খেলতে হয়। ওরাও এখন বড় দলের হয়ে খেলে এবং ট্যাকটিক্যাল বিষয়গুলোতে অভ্যস্ত। আগে (আফ্রিকান দলগুলোর সঙ্গে) পার্থক্য বোঝা যেত, এখন তা যায়ই না। ’

kalerkantho

LEAVE A REPLY