অপরিচিত যুবকের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন শাবনূর

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। তিনি সিনেমা ছেড়েছেন অনেক বছর। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানেই বসবাস করছেন তিনি। কয়েক বছর পরপর দেশে আসেন। ব্যক্তিগত কিছু কাজ শেষে আবার ফিরে যান দেশটিতে।

একমাত্র ছেলে আইজান নেহানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন শাবনূর। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিক মাহমুদকে তালাক দেন তিনি। এরপর আর তার বিয়ের কোনো খবর শোনা যায়নি।

এদিকে কয়েক দিন আগে শাবনূর তার অফিসিয়াল ফেসবুকে এক যুবকের সঙ্গে বেশকিছু ছবি প্রকাশ করেন। এরপরই শুরু হয় নানা জল্পনা। নেটিজেনরা ধরে নেন, নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন শাবনূর। এ নিয়ে ওই সময় কোনো কথা বলেননি জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এবার তিনি মুখ খুললেন। জানালেন- অপরিচিত ওই যুবককে নিয়ে বিস্তারিত বলার সময় আসেনি। সময় হলে সবাই তা জানতে পারবেন।

শাবনূর বলেন, এখনো বিস্তারিত বলার সময় আসেনি। সময় হলে তবেই বলব। আমি আসলে সব সময় নতুন নায়কদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছি। তাই এই ছেলের সঙ্গে ফটোশুট করে ফেসবুকে দেই। এর আগে আরেকজনের সঙ্গেও দিয়েছিলাম। এতটুকুই! এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ নেই। অনেকে তো এককাঠি সরেস, তারা আমার সঙ্গে ছেলেটার বিয়েও দিয়ে দিচ্ছেন, যা মোটেও ঠিক নয়।

শাবনূর ওই ব্যক্তির সঙ্গে তোলা ছবির ক্যাপশন দিয়েছিলেন- ‘ফটোশুটে’। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফটোশুট শেষে ছবিগুলো পোস্ট করে আমি আমার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কয়েক ঘণ্টা পর যখন ফেসবুকে ঢুঁ মেরে দেখি অনেকেই ছবির মানুষটি সম্পর্কে বেশ কৌতূহল প্রকাশ করেছেন। জানতে চাইছেন, কে এই লোক? ওই সব কৌতূহলী ব্যক্তিদের বলতে চাই, যেমনটা ভাবছেন, তেমন কিছুই নয়। এটা শুধুই একটা ফটোশুট। একটা সিনেমার কথা ভেবে করা।

পরিচালক বাদল খন্দকার বলেছিলেন, আমার এ ধরনের একজন হিরো লাগবে, অস্ট্রেলিয়ায় পরিচিত কেউ তোমার চোখে পড়ে কিনা, দেখো তো। যদি চোখে পড়ে, তাহলে ফটোশুট করে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করো। লোকে যদি পছন্দ করে, তাহলে তাকে হিরো বানাব। আমিও পেলাম, তাই ফটোশুট করলাম। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিলাম।’ তবে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে চাইলে উত্তর দেননি শাবনূর।

বুধবার শাবনূর ওই ব্যক্তির সঙ্গে বেশকিছু ছবি প্রকাশ করেন। ক্যাপশনে লেখেন- ফটোশুট। প্রকাশিত ১৯টি ছবিতেই দেখা গেছে ঘনিষ্ঠ হয়ে পোজ দিতে, যেমনটা প্রেমিক-প্রেমিকার ক্ষেত্রে হয়। এরপরই শুরু হয় গুঞ্জন।

LEAVE A REPLY