পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষণা দিয়েছেন, প্রাদেশিক সব আইনসভা থেকে পিটিআই সদস্যরা পদত্যাগ করবেন। শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য করতে লংমার্চ করছিল পিটিআই। তবে ইসলামাবাদ অভিমুখে ‘লংমার্চ’ কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করেছেন ইমরান।
লংমার্চে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান গতকাল শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতে এক সমাবেশে দলের সদস্যদের পদত্যাগের এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ইমরান খান বলেছেন, পিটিআই বর্তমান সরকারব্যবস্থার অংশ হবে না এবং প্রাদেশিক সব আইনসভার আসন ছেড়ে দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দেশের এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ডন নিউজ জানিয়েছে, পিটিআই বর্তমানে পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখাওয়া, আজাদ-কাশ্মীর এবং গিলগিট-বালতিস্তানে ক্ষমতায় রয়েছে।
সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ইমরান অভিযোগ করেছেন, তার ওপর ব্যর্থ হত্যাচেষ্টার পেছনে যে ‘তিন অপরাধী’ ছিল, তাকে আবার টার্গেট করার জন্য অপেক্ষা করছে।
৭০ বছর বয়সী ইমরান খান ডান পায়ে প্লাস্টার নিয়ে সমাবেশে হাজির হয়েছেন। তিনি বারবার অভিযোগ তুলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং আইএসআই কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসির তার ওপর হামলার নেপথ্যে রয়েছেন।
ইমরান বলেছেন, ৯ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার দল জিতবে। এটা নিয়ে তিনি চিন্তা করছেন না। দেশের ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে যে তিনি পাকিস্তানের হয়ে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন। আমি এটাও বলতে চাই, যারা তাদের সম্পদের ব্যাপক বৃদ্ধি দেখেছেন এবং জাতির অধিকার পদদলিত করেছেন … ইতিহাসও তাদের দিকেও তাকিয়ে আছে এবং দেশের সঙ্গে তিনি যা করেছেন সেটাও লিপিবদ্ধ করে রাখছে।
অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন ছাড়া পাঞ্জাবের আইনসভা পিটিআই ভেঙে দিতে পারবে না বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী- শপথ নেওয়ার পর ক্ষমতাসীন দল বিধানসভা ভেঙে দিতে পারবে না।
প্রাদেশিক সব আইনসভা থেকে পদত্যাগে ইমরানের সিদ্ধান্তকে ‘তাঁর ব্যর্থতা স্বীকার’ বলে মনে করছেন সানাউল্লাহ।
সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড