আলোচিত সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলা এবার নতুন মোড় নিয়েছে। ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এ প্রতারণায় বলিউড নায়িকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে দোষী বলে আসলেও এবার এ মামলায় পিঙ্কি ইরানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যিনি সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
দিল্লি পুলিশের আর্থিক শাখা ইওডব্লিউ পিঙ্কিকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে গত বছর নভেম্বরে জিজ্ঞাসাবাদের পর পিঙ্কিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কিন্তু পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি।
এখন পুলিশের হাতে পিঙ্কিকে তিন দিনের জন্য রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। পিঙ্কির সাহায্যে এই ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলার নতুন কিছু খোলাসা হতে পারে বলে আশা করছে পুলিশ।
কে এই পিঙ্কি ইরানি?
বলিপাড়ার বেশ কিছু অভিনেত্রীর সঙ্গে সুকেশের পরিচয় করিয়েছিলেন এই পিঙ্কি। জ্যাকুলিনের সঙ্গে সুকেশের সম্পর্কও তৈরি করিয়েছিলেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, পিঙ্কি পেশায় আগে অভিনেত্রী ছিলেন। সেই সুবাদে বলিপাড়ায় তার ভালো চেনাজানা আছে। সুকেশ ঘুঁটি হিসেবে পিঙ্কিকে ব্যবহার করেছিলেন। পিঙ্কির মাধ্যমেই তিনি নায়িকাদের কাছে দামি উপহার পাঠাতেন। জ্যাকুলিনের কাছেও বেশ কিছু দামি উপহার পাঠিয়েছিলেন সুকেশ এই পিঙ্কির মাধ্যমে।
এদিকে ইডি বলছে, সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের দেখা করিয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছিলেন পিঙ্কি। জ্যাকুলিন ও পিঙ্কিকে মুখোমুখি বসিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাটি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সেই সময় তারা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছিলেন। জ্যাকুলিন ইডিকে বলেছিলেন, পিঙ্কি তার নিজের সন্তানের দিব্যি খেয়ে জ্যাকুলিনকে বলেছিলেন যে, মানুষ হিসেবে খারাপ নয় সুকেশ।
জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে ইডি উল্লেখ করেছে, সুকেশ একজন প্রতারক জানা সত্ত্বেও জ্যাকুলিন তার কাছ থেকে দামি উপহার নেওয়া থেকে বিরত থাকেননি। ৭ কোটির বেশি অর্থমূল্যের উপহার নিয়েছেন জ্যাকুলিন।