ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকেই ইরানে চলছে হিজাব-বিরোধী বিক্ষোভ। ইরান কর্তৃপক্ষের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও বিক্ষোব চলমান রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে সমর্থনের প্রতীক হিসেবে হেড স্কার্ফ না পরেই একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ইরানের এক নারী ক্রীড়াবিদ। এবার তার পারিবারিক বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আলোচিত ওই নারী ইরানি ক্রীড়াবিদের নাম এলনাজ রেকাবি। তিনি গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান রক ক্লাইম্বিং প্রতিযোগিতায় হিজাব না পরেই অর্থাৎ নিজের চুল খোলা রেখেই অংশ নিয়েছিলেন। নিয়ম অনুসারে, যেকোনও ধরনের প্রতিযোগিতায় ইরানের নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য হিজাব পরা অপরিহার্য। খবর বিবিসির।
৩৩ বছর বয়সী এলনাজ রেকাবি গত অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতায় ইরানের বাধ্যতামূলক পোশাক কোড লঙ্ঘন করেন। এতে করে হিজাববিরোধী আন্দোলনকারীদের ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে এলনাজ রেকাবি জানান, তার হেডস্কার্ফ ‘অসাবধানতাবশত’ পড়ে গেছে।
এলনাজ রেকাবিকে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করা হয়েছিল। তবে হেড স্কার্ফের বিরোধিতা হিসেবে মনে করে এলনাজের সেই ছবি ইরানে চলমান বিক্ষোভকে আরও জোরদার করেছিল এবং রেকাবিকে সেসময় নায়ক হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল।
বিবিসি বলছে, চলতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যেখানে মাটিতে খেলাধুলার মেডেল পড়ে থাকাসহ একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখানো হচ্ছে। এছাড়া ওই ভিডিওতে এলনাজ রেকাবির ভাই এবং ইরানের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়াবিদ দাউদকে কাঁদতে দেখা গেছে।
ইরানের সরকারবিরোধী কর্মীরা এটিকে এলনাজ রেকাবির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড হিসাবে আখ্যায়িত করে নিন্দা করেছেন। যদিও এই ফুটেজটি ঠিক কখন ধারণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিশ্চিত করেছে, ওই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে দাবি করা হয়েছে, নির্মাণের জন্য পরিবারের বৈধ অনুমতি না থাকার কারণে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে এলনাজ রেকাবি হেড স্কার্ফ ছাড়াই দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান রক ক্লাইম্বিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগেই বাড়িটি ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।এনএম